বীরেন্দ্র সেহওয়াগের পরে করুণ নায়ারই ভারতের দ্বিতীয় ক্রিকেটার, যিনি টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন। তা সত্ত্বেও দেশের জার্সিতে মোটে ৬টি টেস্টে মাঠে নামার সুযোগ পান তিনি। অথচ টেস্টে নায়ারের ব্যাটিং গড় ৬২.৩৩। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন। রান করেছেন কাউন্টি ক্রিকেটেও। চেষ্টায় কসুর করেননি। তবে পুনরায় জাতীয় নির্বাচকদের নজর কাড়া সম্ভব হয়নি করুণের পক্ষে।
তবে তাই বলে হাল ছাড়ার পাত্র নন নায়ার। ক'দিন আগেই ভারতের টেস্ট দলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। সেই লক্ষ্যে সফল হতে হলে যে ধারাবাহিকভাবে রান করে যাওয়াই একমাত্র রাস্তা, সেটা ভালো মতোই বোঝেন নায়ার। ফর্ম্যাট ভিন্ন হলেও চলতি মহারাজা টি-২০ ট্রফিতে ঝুড়ি ঝুড়ি রান করে টিম ইন্ডিয়ার কক্ষপথ থেকে ছিটকে যাওয়া তারকা বুঝিয়ে চলেছেন, এখনও ফুরিয়ে যাননি তিনি।
চলতি মহারাজা টি-২০ ট্রফির প্রথম ২ ম্যাচে যথাক্রমে ১৮ ও ১৪ রানে আউট হন করুণ নায়ার। তবে তার পরের তিনটি ম্যাচে ব্যাট হাতে রীতিমতো তাণ্ডব চালান তিনি। গুলবার্গা মিষ্টিকসের বিরুদ্ধে ৮টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ বলে ৬৬ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন নায়ার।
ঠিক তার পরেই পরেই ম্যাঙ্গালোর ড্রাগনসের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক সেঞ্চুরি করেন মহীশূর ওয়ারিয়র্সের ক্যাপ্টেন। তিনি সেই ম্যাচে ১৩টি চার ও ৯টি ছক্কার সাহায্যে ৪৮ বলে ১২৪ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। এবার হুবলি টাইগার্সের বিরুদ্ধে ফের মারকাটারি অর্ধশতরান করেন নায়ার।
আরও পড়ুন:- IPL 2025 Player Retention: এই ৫ ক্রিকেটারকে নিলামের আগে ছেড়ে দিতে পারে RCB
বুধবার চিন্নাস্বামীতে লিগের ১৪ নম্বর ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে করুণ নায়ারের মহীশূর ওয়ারিয়র্স ও মণীশ পান্ডের হুবলি টাইগার্স। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ওয়ারিয়র্স। তারা ১৯.৩ ওভারে ১৬৫ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ক্যাপ্টেন নায়ার ৩৬ বলে ৬৬ রানের ধুমধাড়াক্কা ইনিংস খেলেন। তিনি ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া এসইউ কার্তিক ৩৪ ও মনোজ ভান্দাগে ২০ রানের যোগদান রাখেন। বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। সমিত দ্রাবিড় ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। টাইগার্সের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন এলআর কুমার ও মানবন্ত কুমার। ২টি উইকেট নেন কেসি কারিয়াপ্পা। ১টি উইকেট দখল করেন কাভেরাপ্পা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে হুবলি টাইগার্স ১৭ ওভারে মাত্র ১০৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৫৬ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতে ওয়ারিয়র্স। থিপ্পা রেড্ডি ১৬, মহম্মদ তাহা ২২, মণীশ পান্ডে ১৮, এলআর কুমার ১৯ ও কারিয়াপ্পা ১২ রান করেন। ওয়ারিয়র্সের জগদীশা সুচিত ৪ ওভারে ১৪ রান খরচ করে ৪টি উইকেট নেওয়ার সুবাদে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন।