ব্যাটে-বলে ইতিবাচক পারফর্ম্যান্স উপহার দেন দুই ভারতীয় তারকা করুণ নায়ার ও সিদ্ধার্থ কৌল। তাঁদের কাউন্টি দল নর্দাম্পটনশায়ার দাপুটে ক্রিকেট খেলে। তবে ডার্বিশায়ারের বিরুদ্ধে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে জয়ের দোরগোড়ায় আটকে যায় তারা। রুদ্ধশ্বাস শেষ দিনে মাত্র ১ উইকেটের জন্য জয় অধরা থেকে যায় নর্দাম্পটনশায়ারের।
ডার্বিতে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে নর্দাম্পটনশায়ার। তারা প্রথম ইনিংসে ৪২২ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। যদিও প্রথম ইনিংসে মাত্র ৬ রান করে আউট হন করুণ নায়ার। খাতা খুলতে পারেননি সিদ্ধার্থ কৌল। দলের হয়ে ১০২ রান করে আউট হন রব কেও। ৭৫ রান করেন জাস্টিন ব্রড। ৫৩ রান করেন উইকেটকিপার রিকার্ডো। ডার্বিশায়ারের হয়ে প্রথম ইনিংসে ব্লেয়ার টিকনার, জ্যাক চ্যাপেল, অনূজ দাল ও ডেভিড লয়েড ২টি করে উইকেট দখল করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ডার্বিশায়ার তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ৩৬২ রানে। ব্রুক গেস্ট ৭৬, ওয়েন ম্যাডসেন ৬২, রস হোয়াইটলি ৫৪ ও ম্যাথিউ ল্যাম্ব ৫২ রান করেন। নর্দাম্পটনশায়ারের বেন স্যান্ডারসন প্রথম ইনিংসে ৫টি উইকেট দখল করেন। সিদ্ধার্থ কৌল ২০ ওভারে ৭২ রান খরচ করে ৩টি উইকেট তুলে নেন।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৬০ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে নর্দাম্পটনশায়ার। তারা ৩ উইকেটে ৩১০ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয়। ১৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন এমিলিও গে। ৪৬ বলে ৫৫ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন করুণ নায়ার। তিনি ৬টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। রিকার্ডো ৪১ ও জর্জ ৩৩ রানের যোগদান রাখেন।
জয়ের জন্য ডার্বিশায়ারের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৩৭১ রানের। তারা ৯ উইকেটে ২৬১ রান তুললে ম্যাচ ড্র ঘোষিত হয়। অর্থাৎ, আর ১টি উইকেট তুলে নিতে পারলেই ম্যাচ জিতত নর্দাম্পটনশায়ার। জ্যাক চ্যাপেল ৭২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে দলের পরাজয় রোধ করেন। ৪৪ রান করেন লুইস রিস। শেষ ইনিংসে নর্দাম্পটনশায়ারের হয়ে ৫টি উইকেট নেন রব। উইকেট পাননি সিদ্ধার্থ।
অন্যদিকে ইয়র্কশায়ারের বিরুদ্ধে কাউন্টি ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪ রান করে আউট হন চেতেশ্বর পূজারা। লো-স্কোরিং ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ৩৩ রানের যোগদান রাখেন। সাসেক্স ২১ রানে হারিয়ে দেয় ইয়র্কশায়ারকে।