টুর্নামেন্টের প্রথম ২টি ম্যাচে ব্যাট হাতে তেমন একটা নজর কাড়তে পারেননি করুণ নায়ার। তবে চলতি মহারাজা টি-২০ ট্রফির তৃতীয় ম্যাচে অনবদ্য হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিনি। এবার চতুর্থ ম্যাচে মহীশূর ওয়ারিয়র্সকে নেতৃত্ব দিতে নেমে ধ্বংসাত্মক শতরান করেন নায়ার। ম্যাঙ্গালোর ড্রাগনসের বিরুদ্ধে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে নায়ক হয়ে ওঠেন করুণ।
সোমবার চিন্নাস্বামীতে মহারাজা টি-২০ লিগের দশম ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে করুণ নায়ারের মহীশূর ওয়ারিয়র্স ও শ্রেয়স গোপালের নেতৃত্বাধীন ম্যাঙ্গালোর ড্রাগনস। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মহীশূর। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২২৬ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে।
ধ্বংসাত্মক শতরান করুণ নায়ারের
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে করুণ নায়ার ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ১০টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে ৪৩ বলে ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকে যান। শেষমেশ ১৩টি চার ও ৯টি ছক্কার সাহায্যে ৪৮ বলে ১২৪ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন নায়ার।
এছাড়া ১৪ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন মনোজ ভান্দাগে। তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। অজিত কার্তিক ১১, সমিত দ্রাবিড় ১৬ ও সুমিত কুমার ১৫ রান করেন। ড্রাগনসের হয়ে অভিলাস শেট্টি ২টি উইকেট দখল করেন। ১টি করে উইকেট নেন নিশ্চিত রাও ও এমবি দর্শন।
মন্দ আবহাওয়ায় ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে জয়ের জন্য ম্যাঙ্গালোরের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৪ ওভারে ১৬৬ রানের। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ম্যাঙ্গালোর নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৮ রানে আটকে যায়। ডিএল মেথডে ২৭ রানে ম্যাচ জেতে ওয়ারিয়র্স।
লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন কৃষ্ণমূর্তি সিদ্ধার্থ। তিনি ২৭ বলে ৫০ রান করে আউট হন। মারেন ৯টি চার ও ১টি ছক্কা। ২১ বলে ৩২ রান করেন নিকিন জোস। তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। রোহন পাতিল ও দর্শন উভয়েই ১২ রানের সংক্ষিপ্ত যোগদান রাখেন।
ওয়ারিয়র্সের হয়ে অজিত কার্তিক ও জগদীশা সূচিত ২টি করে উইকেট দখল করেন। ১টি করে উইকেট নেন বিদ্যাধর পাতিল ও দীপক। উইকেট পাননি কৃষ্ণাপ্পা গৌতম ও মনোজ ভান্দাগে। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন শতরানকারী করুণ নায়ার।