শুধু টি-২০ ক্রিকেটেই নয়, বরং যে কোনও ফর্ম্যাটে ছেলে ও মেয়েদের কোনও স্বীকৃত ক্রিকেট ম্যাচে যে নজির আর কারও নেই, তেমনই অবিশ্বাস্য রেকর্ড গড়েন কেলিস নধলভু। জিম্বাবোয়ের এই মহিলা ক্রিকেটার টানা ৫ বলে ৫টি উইকেট দখল করেন।
জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট উইমেন্স টি-২০ কাপের ম্যাচে এমন দুর্দান্ত বিশ্বরেকর্ড গড়েন কেলিস। বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সম্মুখসমরে নামে জিম্বাবোয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা দল ও ঈগলস উইমেন্স। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবোয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
তারা ১৮.১ ওভারে ১১২ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২৩ বলে ৪২ রান করেন ক্রিশ্চিন মুতাসা। তিনি ৮টি চার মারেন। ওপেন করতে নেমে ৩৩ বলে ২৯ রান করেন বিলাভড বিজা। তিনি ৪টি চার মারেন। অপর ওপেনার তথা ক্যাপ্টেন কেলিস ১১ বলে ১০ রান করেন। তিনি ২টি চার মারেন।
ঈগলসের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন এস্তার এমবোফানা, মিকেলে মাভুঙ্গা, প্রেসিয়াস মারাঙ্গে, ক্রিশ্চাবেল চাতনজওয়া ও রোপাফাদজো মাভুঙ্গা। উইকেট পাননি আদেল জিমুনু।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঈগলস উইমেন্স ১৯ ওভারে ১০৫ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৭ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠে জিম্বাবোয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা দল। জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে মাত্র ৯ রান দরকার ছিল ঈগলসের। হাতে ছিল ৫টি উইকেট। স্বাভাবিকভাবেই তাদের জয় নিশ্চিত দেখাচ্ছিল। ১৯তম ওভারে বল করতে এসে ক্যাপ্টেন তথা অল-রাউন্ডার কেলিস অসাধ্য সাধন করেন।
এই বাঁ-হাতি স্পিনারের প্রথম বলে ১ রান নেন মিকেলে মাভুঙ্গা। ওভারের শেষ ৫টি বলে বোল্ড হন যথাক্রমে ক্রিশ্চাবেল, এমবোফানা, মিচেল, রোপাফাদজো ও রেবেকা। কেলিস ৪ ওভারে ১৭ রান খরচ করে মোট ৬টি উইকেট দখল করন। ঈগলসের হয়ে জিমুনু ২৪, ক্রিশ্চাবেল ২৯ ও কাওথার ২৬ রান করেন। শেষ চারজন ব্যাটার গোল্ডেন ডাকে সাজঘরে ফেরেন।
যদিও টুর্নামেন্টের ফাইনালে টাস্কার্স উইমেন্সের কাছে ৮ উইকেটে হেরে যায় জিম্বাবোয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। প্রথমে ব্যাট করে অনূর্ধ্ব-১৯ দল ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৬ রান তোলে। পালটা ব্যাট করতে নেমে টাস্কার্স ১৬.৪ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১০৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। কেলিস ফাইনালে ৪ ওভার বল করে ২টি মেডেন নেন। মাত্র ১৬ রান খরচ করলেও কোনও উইকেট পাননি তিনি।