ফের একবার শিরোনামে এস শ্রীসন্থ। কয়েক দিন আগে সঞ্জু স্যামসনের পাশে দাঁড়িয়ে কেরল ক্রিকেট সংস্থাকে নিশানা করেছিলেন তিনি। সেই ঘটনায় এবার পাল্টা শোকজ নোটিশ ধরাল KCA। একই সঙ্গে সেখানে ম্যাচ গড়াপেটার প্রসঙ্গে টেনে খোঁচাও দেওয়া হয়েছে। বিবৃতে উল্লেখ করা হয়েছে যে ভুল এবং অসত্য তথ্য দেওয়ার জন্য শোকজ করা হয়েছে শ্রীসন্থকে, নাকি সঞ্জুর পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
কেরল ক্রিকেট সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘KCA সবসময় তাদের খেলোয়াড়দের পাশে থাকে। এমনকী ২০১৩ সালে শ্রীসন্থ যখন জেলে ছিল তখন আমাদের কর্তারা জেলে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে এবং সবরকম ভাবে পাশে থেকেছে। আদালত তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাটি বাতিল করলেও এখনও সে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ থেকে মুক্ত নয়। তাই শ্রীসন্থের কোনও ক্রিকেটারের পক্ষে কথা বলাটা শোভা পায় না।’
KCA স্পষ্ট করেছে যে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও ধরণের অপপ্রচার বরদাস্ত করা হবে না। যারা এধরণের কিছু করবে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর শোকজ নোটিস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা জবাব দিয়েছেন শ্রীসন্থ। তিনি স্পষ্ট করেছেন, যেকোনও পরিস্থিতিতে কেরলের ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়াবেন।
শ্রীসন্থ বলেন, ‘আমাদের এরকম ক্রিকেটারের প্রয়োজন যারা দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখে। আমি তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি না যারা এই খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে থাকে। আমার আইনের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা এবং ভরসা রয়েছে। যারা কেরল ক্রিকেটের আসল সমস্যা থেকে মুখ ফিরিয়ে, আমি তাদের নিয়ে চিন্তিত। যারা আমার বিরুদ্ধে মানহানিকর বিবৃতি দিয়েছে তাদের খুব তাড়াতাড়ি উত্তর দিতে হবে।’
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে শ্রীসন্থের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় রাজস্থান রয়্যালসের তিন ক্রিকেটারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে এক জন ছিলেন শ্রীসন্থ। অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে আজীবন ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরে যদিও সুপ্রিম কোর্ট শ্রীসন্থকে মুক্তি দেয় এবং তাঁকে নির্দোষ ঘোষণা করে।
অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে সুযোগ পায়নি সঞ্জু। জানা যায় যে বিজয় হাজারে ট্রফিতে না খেলার কারণেই দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছে তাঁকে। বিজয় হাজারে ট্রফির আগে কেরলের শিবিরে যোগ দেননি সঞ্জু স্যামসন। প্রতিযোগিতার আগে তিন দিনের শিবির করার কথা ছিল কেরল ক্রিকেটারদের। সেখানে সঞ্জু না আসাতেই তাঁকে আর বিজয় হাজারে ট্রফির স্কোয়াডেও রাখেনি নির্বাচকরা।