রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল কেরল। মাত্র ১ রানের লিডের সৌজন্যে তাঁরা পৌঁছল রঞ্জির শেষ চারে। ২০১৮-১৯ সালের পর এই প্রথম কেরল দল গেল সেমিফাইনালে। শেষ দিনে কেরলের ব্যাটাররাই দলকে এনে দিলেন মহামুল্যবান সেমির টিকিট। প্রথম ইনিংসে লিডের সৌজন্যে তাঁরা পৌঁছল পরের রাউন্ডে।
আরও পড়ুন-শততম টেস্টে ক্রিকেটকে বিদায়! শেষ ইনিংসে করুণারত্নে করলেন ১৪, দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫০
প্রথমে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর তুলেছিল ২৮০ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঠিক ১ রানের লিড নেয় কেরল। তাঁরা প্রথম ইনিংসে করেছিল ২৮১ রান। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে জম্মু কাশ্মীর দল ৯ উইকেটে ৩৯৯ রান তুলে ইনিংস ডিক্লিয়ার করে দিয়েছিল। তাঁদের কাছে বড় রান তোলার টার্গেট যেমন ছিল, তেমনই কম সময়ের মধ্যে কেরলকে অলআউট করারও চ্যালেঞ্জ ছিল।
পঞ্চম দিনে জিততে গেলে জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর দলকে কেরলকে অলআউট করতে হত।কিন্তু সেটা তাঁরা পারলেন না। ওপেনিংয়ে রোহন কুন্নুমাল করেন ৩৬ রান, অক্ষয় চন্দ্রন করেন ৪৮ রান। কেরলের অধিনায়ক সচিন বেবি এরপর ১৬২ বলে করেন ৪৮ রান। জসজ সাক্সেনা করেন ১৮ রান। শেষদিকে জম্মু কাশ্মীর দলকে জিততে গেলে সলমন নিজার-মহম্মদ আজহারউদ্দিনের পার্টনারশিপ ভাঙতে হত।
আরও পড়ুন-আয়ুবের চোট, ICC চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ওপেনার কে? রিজওয়ান বলছেন, ‘কিং কর লেগা’,
কেরলের সপ্তম উইকেট জুটিই এযাত্রায় তাঁদের বাচিয়ে দিল এবং সেমিফাইনালে তুলল। সপ্তম উইকেট জুটিতে কেরলের দুই ব্যাটার সলমন নিজার এবং আজহারউদ্দিন তুললেন পার্টনারশিপে ১১৫ রান। নিজার করেন ৪৪ রান। আজহারউদ্দিন করেন ৬৭ রান। ৬ উইকেটে কেরলের স্কোর ২৯৫ থাকার পরে ম্যাচ ড্র ঘোষণা করে আম্পায়াররা। আর সেখানেই ১ রানে প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার সৌজন্যে রঞ্জির সেমিতে পৌঁছে যায় কেরল।
সঞ্জু স্যামসনকে ছাড়াই কেরল রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে উঠে দেখিয়ে দিল তাঁদের দলও কোনও একজন ক্রিকেটারের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল নয়। কারণ শেষ কয়েকমাস ধরে সঞ্জু সঙ্গে কেরল বোর্ডের কর্তাদের মনমালিন্য তৈরি হয়েছে। কারণ বিজয় হাজারে ট্রফির আগে তাঁদের দলের ক্যাম্পে সঞ্জু যোগ দেননি।