কলকাতা নাইট রাইডার্স দল জয়ের সরণিতে ফিরেছে রাজস্থান ম্যাচে। এই ম্যাচে বারসাপারা স্টেডিয়ামে ৮ উইকেট হাতে নিয়েই ম্যাচ জিতে গেছে নাইটরা। কুইন্টন ডি কক একটুর জন্য শতরান হাতছাড়া করেন, অপরাজিত থাকেন ৯৭ রানে। সুনীল নারিন খেলতে পারেননি অসুস্থতার জন্য, তবে তাতে কেকেআরের জয় আটকে থাকে নি।
একটা চ্যাম্পিয়ন দল যদি নিজেদের কোর টিমকে ধরে রাখে তাহলে দলের এক আধজন ক্রিকেটার না খেললেও খুব বেশি পার্থক্য হয় না, সেটাই বোঝা গেল রাজস্থান ম্যাচে। রাসেলকে বলও করতে হল না, ব্যাটও করতে হল না। বরুণ চক্রবর্তীরাই দায়িত্ব নিয়ে এই ম্যাচে রাহানের কেকেআরের বৈতরণী পার করে দলকে জয়ের ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনলেন।
কেকেআর জিততেই নিশানায় সিএবি
কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে প্রথম ম্যাচে হারের পরই চেয়েছিলেন স্পিনিং উইকেট, কারণ আরসিবি ম্যাচে নারিন ব্য়ক্তিগত করিশমায় নজর কাড়লেও বরুণ চক্রবর্তী ছিলেন একদমই নিষ্প্রভ। পরের দিকে উইকেটে তেমনই স্পিনই হয়নি। গুয়াহাটিতে অবশ্য বল একটু ঘুরতেই ভেল্কি দেখান বরুণ, মইনরা। তাতেই কেকেআরের জয়ের পথ মসৃণ হয়। এরপরই সিএবির দিকে তোপ দেগেছেন নাইট সমর্থকরা।
চেন্নাইতে সুবিধা পায় সিএসকে
চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে দীর্ঘদিন ধরেই মহেন্দ্র সিং ধোনির সিএসকে দল খেলে থাকে। সেখানে কিন্তু বরাবরই স্লো টার্নার উইকেট হয়, এক্ষেত্রে চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের পিচ কিউেটররা কিন্তু কোনওদিনই তেমন বাধা সৃষ্টি করে না। কিন্তু ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন নাইট রাইডার্স এর আগেও বারবারই আবেদন জানিয়েছে ইডেনে স্পিনিং ট্র্যাকের জন্য, তবে সিএবি এক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপই নেননি। আর সিএবির পিচ কিউরেটরও জানিয়েছিলেন তিনি ইডেনে থাকলে কোনওদিনই পছন্দ মতো উইকেট পাবে না নাইট রাইডার্স, অর্থাৎ তিনি নিউট্রাল স্পোর্টিং পিচ করবেন।
সিএবিকে নিশানা নাইট সমর্থকদের
এই দোটানার মধ্যেই এবার সিএবিকে নিশানা করলেন নাইট সমর্থক এবং ফ্যান ক্লাবগুলো। নিজেরা কেকেআরের খেলা থেকে টিকিট নেওয়ার সময় নিয়ে বিলি করতে পারছেন, আর্থিক লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন। অথছ যে ফ্র্যাঞ্চাইজি এত টাকা খরচা করে দল বানিয়েছে, তাঁরা ইডেনকে হোম গ্রাউন্ড দেখানো সত্ত্বেও তাঁদের নূন্যতম সুবিধা প্রদান করতে পারছে না সিএবি?
অন্য রাজ্যে ম্যাচ সরানোর দাবি
এরই মধ্যে কয়েকজন নাইট ফ্যান আবার সোশাল মিডিয়ায় সিএবির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলছেন, দিল্লি ক্যাপিটালস দল নিজেদের হোম ম্যাচ খেলছে ভাইজাগে। রাজস্থান রয়্যালস দল বুধবার নিজেদের ম্যাচ খেলেছে গুয়াহাটিতে। এমনিতেই ত্রিপুরাতেও কেকেআরের ম্যাচ হওয়ার কথা চলছে, তাই একান্তই যদি সিএবি নাইট রাইডার্সকে সুবিধা প্রদান করতে না পারে সেক্ষেত্রে কেকেআরেরও উচিত অন্য রাজ্য হোম ম্যাচ খেলা, দাবি করেছে সমর্থকরা। কিছু ফ্যানস ক্লাব তো সরাসরি, ‘শেম অন সিএবি’ লিখে পোস্টও করেছে। এই পরিস্থিতিতে স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্য়ায় সংস্থা কি সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই নজর থাকছে সকলের।
হোম টিম সর্বত্র সুবিধা পায়
কারণ হোম টিম হলে, সেটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক বা ঘরোয়া ক্রিকেট, একটু তো সুবিধা নেবেই দলগুলো। সাধারণ কেরল বা বিদর্ভের মাঠে খেলতে গেলেও সেখানে বাংলার ক্রিকেটাররা দেখতে পান প্রতিপক্ষ দলের সুবিধা অনুযায়ী পিচ তৈরি হয়েছে। ভারতে স্পিন সহায়ক, আবার অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকায় পেস সহয়াক উইকেট, এটাই চল রয়েছে। তাহলে আইপিএলে কেকেআর একা কেন ভুক্তভুগি হবে, এই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।