শুভেন্দু অধিকারীর সম্প্রতি রামনবমীর দিন ২০ হাজার মিছিলের ডাক দিয়েছেন, আর তাতেই বিশৃঙ্খলা এড়াতে গিয়ে ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচ আপাতত বিশ বাও জ্বলে। সাম্প্রতিক সময় বিজেপির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সংঘাত চরমে উঠেছে। যার মাঝে চলে এসেছে উৎসবও। মহরমের দিন দুর্গা পুজোর বিসর্জ্জন বন্ধ নিয়ে বছর খানেক আগে বিস্তর বিতর্ক হয়, আদালতের বিষয়টি গড়ায়।
সাম্প্রতিক সময় বারবার দেখা গেছে বাংলা দখলের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারাই হাতিয়াড় করে নিয়েছে ধর্মকে। বারবার বিভিন্ন ধর্মের সঙ্গেই রাজনৈতিক দলের নাম জুড়ে দেওয়া হচ্ছে ফায়দা তোলার জন্য। মুর্শিদাবাদের হুমায়ুন কবীরের মন্তব্য হোক বা পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী, গোটা রাজ্য এখন সরগরম রাজনীতি আর ধর্মের মিলেমিশে যাওয়া নিয়েই।
এরই মধ্যে রামনবমীর দিন ইডেনে ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম লখনউ সুপার জায়ান্টের ম্যাচ। সেই ম্যাচে যে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়, তা আগেই পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। এদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও সম্প্রতি ২০ হাজার মিছিলের ডাক দিয়েছেন রাজ্য জুড়ে ওইদিনে। চলছে রমজান মাসও। তাই কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না রাজ্য প্রশাসন। বিশেষ করে আগামী বছরই বিধানসভা নির্বাচন থাকায় পুলিশও বেশ সতর্ক।
পরিস্থিতির কথা বুঝে বিসিসিআইকেও এবার সিএবির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, ওইদিন কলকাতায় ম্যাচ করা অসম্ভব। পুলিশ জানায়, তাঁদের পক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। আর ইডেনে কেকেআরের ম্যাচে কম বেশি ৬৫ হাজার সমর্থক মাঠে আসে। ফলে এত সংখ্যাক মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি পুলিশকে ছাড়া সম্ভব নয় বলে বোর্ডকে জানিয়েছে সিএবিও, যদিও এখনও বিসিসিআই এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।
প্রসঙ্গত এই প্রথম নয়, এর আগেও আইপিএলের ম্যাচের সূচি বদল হয়েছে। কারণ আইপিএলে ফাঁকা মাঠে স্টেডিয়াম করলে আয়োজক দল ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে। আর সম্প্রচারকারী সংস্থাও সেটা দেখাতে চায়। সিএবির সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘আমাদের স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই ম্যাচে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। যদি পুলিশি নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে ৬৫ হাজার দর্শক নিয়ে ম্যাচ করা অসম্ভব। আমরা বিসিসিআইকে জানিয়েছি পুরো বিষয়টি, এখনও হাতে কিছুটা সময় রয়েছে। গত বছরও রামনবমীর সময় ম্যাচ পড়ায় সেই ম্যাচের সূচি বদল হয়েছিল ’।