ফের দশ বছর পর শিরোপা জয়ের হাতছানি কলকাতা নাইট রাইডার্সের সামনে। দুরন্ত পারফরম্যান্স করে দাপটে সঙ্গে ২০২৪ আইপিএলের ফাইনালে উঠছে কেকেআর। প্রথম কোয়ালিফায়ারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে তারা সরাসরি ফাইনালে জায়গা করে নেয়। পরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার জিতে ফাইনালে উঠেছে হায়দরাবাদও। অর্থাৎ, রবিবার ফাইনালে কলকাতা বনাম হায়দরাবাদের লড়াই।
চলতি আইপিএলে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে হায়দরাবাদকে হারিয়েছিল কেকেআর। কোয়ালিফায়ারেও দাপটের সঙ্গে তারা জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। এবার ফাইনালে সেই হায়দরাবাদকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে শ্রেয়স আইয়ারদের। তবে চিপকের পিচ, শিশির ফ্যাক্টর এবং টসে জেতার উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে।
আরও পড়ুন: ফের পাক শিবিরের কোন্দল প্রকাশ্যে, বাবরের ডেপুটি হতে পত্রপাঠ না করে দিলেন আফ্রিদি
চিপকের পিচ কেমন?
ইতিহাস বলছে, চিপকে বোলাররা সুবিধে পায় বেশি। যদি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের ম্যাচ দেখা যায়, তবে পিচ মন্থর ছিল। তবে প্রথম ইনিংসে পেসাররা সুবিধে পেয়েছে। পিচে বাড়তি বাউন্স ছিল, যা সিমাররা কাজে লাগায়।স্পঞ্জি বাউন্স ছাড়াও, ফাস্ট বোলারদের জন্য সিম মুভমেন্টের ইঙ্গিতও ছিল, কারণ মাঝে মাঝে বলটি ট্র্যাকের বাইরে চলে যাচ্ছিল। প্রথম ইনিংসে রাজস্থান রয়্যালসের দুই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট এবং আবেশ খান সুবিধে পান।
কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে আবার স্পিনাররা সুবিধে পেয়েছে। সেই সুবিধে কাজে লাগিয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের শাহবাজ আহমেদ এবং অভিষেক শর্মা। তবে শুক্রবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের ম্যাচে কোনও শিশির কিন্তু ছিল না। যে কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে সেই সুবিধে পাইনি রাজস্থান।
ফাইনালের জন্য পুরো ভিন্ন উইকেট
তবে কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার কিন্তু পিচ নিয়ে একেবারে আলাদা দাবি করেছেন। ম্যাচের আগের দিন শনিবার তিনি জানিয়েছেন, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের থেকে পুরো ভিন্ন পিচে খেলা হবে ফাইনাল। তাঁর দাবি, ‘ফাইনালের উইকেটের দিকে তাকালে, এটি কোয়ালিফায়ার টু-র থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এটি লাল মাটির উইকেট। আমরা জানি না, ফাইনালে এই পিচ কেমন আচরণ করবে। কোয়ালিফায়ার টু-র ম্যাচে শিশির ছিল না। যাইহোক আমি বা কামিন্স যে সিদ্ধান্তই নিই না কেন, আশা করি, সেটা আমাদেরই পক্ষে যাবে।’
আরও পড়ুন: দ্রাবিড়ের পরিবর্ত হিসেবে জোরালো হচ্ছে KKR মেন্টর গম্ভীরের নাম
সুনীল-বরুণ বড় ভরসা শ্রেয়সের
কোয়ালিফায়ার ওয়ানে মিচেল স্টার্ক বল হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন। তবে চিপকের পিচে স্পিনাররা বেশি সাহায্য পেয়ে থাকেন। যে কারণে শ্রেয়স নির্ভর করছেন বরুণ চক্রবর্তী এবং সুনীল নারিনের উপর। তিনি বলেওছেন, ‘বরুণ এবং সুনীল ভালো ছন্দে রয়েছে। ওরা উইকেটও নিচ্ছে। ওরা আমাদের পরিকল্পনাকে বাস্তবে রুপ দিচ্ছে। মধ্য ওভারে বোলিং করে উইকেট তুলে নিয়ে আমাদের দারুণ সুবিধে করে দিচ্ছে ওরা। আশা করি, ফাইনালে ওরা একই কাজ করবে।’