আইপিএল ২০২৫-এর ২১তম ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টস মুখোমুখি হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে লখনউ দল শুরুটা দুর্দান্ত শুরু করেছিল। ইনিংসের ১০ ওভার পর্যন্ত লখনউয়ের কোনও উইকেট পড়েনি। এডেন মার্করাম এবং মিচেল মার্শের জুটি শুরুতেই কেকেআর বোলারদের বড় ধাক্কা দেয়। কিন্তু ১১তম ওভারে হর্ষিত রানা হল করতে এসে লখনউকে প্রথম ধাক্কাটা দেন।
হর্ষিতের ঔদ্ধত্যে ভরা সেলিব্রেশন
লখনউয়ের ইনিংসের সময়ে কেকেআরের হয়ে ১১তম ওভারে বল করতে এসেছিলেন হর্ষিত রানা। এই ওভারের প্রথম বলেই দুর্দান্ত শট একটি বাউন্ডারি হাঁকান এডেন মার্করাম। চার হজম করার পর, হর্ষিত রানাও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেন। পরের বলেই হর্ষিত স্টাম্প উপড়ে ফেলেন মার্করামের। ২৮ বলে ৪৭ রান করে সাজঘরে ফিরতে হন এডেন মার্করামকে। তাঁর এই ইনিংসে ছিল ৪টি চার এবং ২টি ছক্কা।
আরও পড়ুন: রাচিনের বাউন্ডারির আঘাতে চোখে সর্ষেফুল PBKS-এর চিয়ারলিডারের, এর পরেই আউট হন CSK তারকা- ভিডিয়ো
মার্করামকে আউট করার পর হর্ষিত সেলিব্রেশন করতে গিয়ে একটু বেশি ঔদ্ধত্য দেখান। মার্করাম, মার্শ জুটি প্রথম উইকেটে ৯৯ করে। আর ১১তম ওভারে মার্করামকে আউট করার পর, হর্ষিত তাঁকে আঙুল দিয়ে ইশারায় মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলেন। এখন দেখার বিষয় হল, হর্ষিতের এই ঔদ্ধত্যে ভরা সেলিব্রেশন বিসিসিআই কী ভাবে নেয়! সম্প্রতি, আইপিএলে দু'বার নোটবুক সেলিব্রেশন করার কারণে দিগ্বেশ রাঠিকে জরিমানা করেছে বিসিসিআই। যে কারণে মনে করা হচ্ছে, শাস্তি পেতে পারেন হর্ষিত। আর ১১তম ওভারে এসে প্রথম উইকেট ফেলার পর, এভাবে ঔদ্ধত্য দেখিয়ে সেলিব্রেশনের কোনও যুক্তি আছে কিনা, তা নিয়েও ক্রিকেট মহলেও চলছে তীব্র চর্চা।
ফ্লাইং কিস দিয়ে নির্বাসিত হয়েছিলেন কেকেআর পেসার
গত বছর, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটার ময়াঙ্ক আগরওয়াল এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের অভিষেক পোড়েলকে ফ্লাইং কিস দিয়ে, এক ম্যাচ নির্বাসনের শাস্তি পেয়েছিলেন হর্ষিত। গত বছর তাঁর সেলিব্রেশনগুলি যথেষ্ট আলোড়ন ফেলেছিল। এই মরশুমেও তাঁর অন্যথা হল না। এডেন মার্করামকে আউট করে তিনি যে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন, সেটা নেটপাড়ায় ভাইরাল হয়েছে। এই নিয়ে বিতর্কও কম হচ্ছে না। ফের না বড় শাস্তির কবলে পড়তে হয় হর্ষিতকে।
৪ রানে হারতে হয় কেকেআর-কে
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ইডেনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শেষমেশ লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে ৪ রানে হেরে যায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল লখনউ। তারা ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রানের বিশাল বড় স্কোর করে। মিচেল মার্শের ৪৮ বলে ৮১, নিকোলাস পুরানের ৩৬ বলে ৮৭, এডেন মার্করামের ২৮ বলে ৪৭ রানের হাত ধরে কেকেআর-এর উপর পাহাড় প্রমাণ রানের বোঝা চাপিয়ে দেয় লখনউ। সেই রান তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৩৪ করে কলকাতার দল। মাত্র ৪ রানে হারতে হয় কেকেআর-কে। কেকেআর-এর হয়ে সর্বোচ্চ রান অজিঙ্কা রাহানের। তিনি করেছেন ৩৫ বলে ৬১ রান। এছাড়া ২৯ বলে ৬৫ করেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। আটে নেমে ১৫ বলে অপরাজিত ৩৮ করেন রিঙ্কু সিং। কিন্তু তিনি দলকে জেতাতে পারেননি।