অস্ট্রেলিয়ার কাছে দ্বিতীয় টেস্টে হারের পর ব্রিসবেনে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ভারত। সেই মতো শুরু হয়ে গেছে জোর কদমে প্রস্তুতি। আগামী শনিবার থেকে শুরু হবে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির তৃতীয় টেস্ট ম্যাচ। এই ম্যাচে নজর থাকবে বিরাট কোহলির উপর। শেষবার ২০২০-২১ সালে যখন এই ভেন্যুতে টেস্ট খেলেছিল রোহিতরা, তখন জয় পেয়েছিল। সেই ধারাই অব্যাহত রাখতে চাইবে এবারও। তবে তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামার আগের যথেষ্ট চিন্তা বাড়াচ্ছে ভারতের ব্যাটিং পারফরম্যান্স। লাগাতার ব্যর্থ হচ্ছে ব্যাটাররা। যেই কারণে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে লজ্জাজনক ভাবে হারতে হয়েছিল টেস্ট সিরিজ। ব্যাট হাতে রান পাচ্ছেন না বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মার মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা। যদি পার্থের দ্বিতীয় ইনিংস বাদ দেওয়া হয় তাহলে বাকি ৩ ইনিংসে মাত্র ২৩ রান করেছেন বিরাট।
বারবার অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে আউট হচ্ছেন তিনি। অ্যাডিলেডেও সেরকমই দেখা যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে লাগাতার তাঁকে অফ স্টাম্পের বাইরে বল করেন বোল্যান্ড। সফলও হন অজি পেসার। এখন কোহলির দুর্বলতা প্রায় সব বোলারই ধরে ফেলেছেন। আর সেখানেই বার বার আঘাত করে সফল হচ্ছেন। তবে এই বার সেই দুর্বলতা কাটাতে মরিয়া বিরাট। গাব্বায় খেলতে নামার আগে অনুশীলনে নজর দিলেন সেই দিকে। চতুর্থ এবং পঞ্চম স্টাম্পের বলের ক্ষেত্রে আরও বেশি ধৈর্য্য এবং সংযত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামার আগে কোনও খামতি রাখতে নারাজ ভারতীয় শিবির। অতীতে যা ভুল হয়েছে সেগুলি শুধরে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে অনুশীলনের মাধ্যমে। সেই মতো বৃহস্পতিবার গোটা দলকে নেটে দেখা গেল প্রস্তুতি সারতে।
অন্য দিকে ভালো খবর রয়েছে জসপ্রীত বুমরাহকে নিয়েও। এই মুহূর্তে তাঁর ফিটনেস নিয়ে কোনও চিন্তার বিষয় নেই। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বোলিং করতে গিয়ে জসপ্রীত বুমরাহ মাঠে শুয়ে পড়েছিলেন। অনেকেই ভেবেছিলেন চোট পেয়েছিলেন, যা চিন্তা বাড়িয়েছিল ভারতীয় শিবিরেও। দ্রুত মাঠে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর তিনি বল করেন এবং উইকেটও পান। কিন্তু বলের গতি অনেকটা কমে গিয়েছিল বুমরাহের। ১৩০ কিমি গতিবেগে বল করছিলেন তিনি। পরে বোলিং কোচ মর্নি মর্কেল জানিয়েছিলেন, ক্র্যাম্প ধরেছিল বুমরাহের। অস্ট্রেলিয়া মিডিয়ায় এরপর ভারতীয় পেসারকে নানা খবর শোনা যাচ্ছিল। তবে এদিন অনুশীলনে দেখা যায় তাঁকে। যা অনেকটাই দুশ্চিন্তা দূর করেছে ভারতীয় সমর্থকদের মন থেকে।