সিরিজের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে ৮ উইকেটে ১৩৫ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে শ্রীলঙ্কা ২১৪ রানে পৌঁছয়। তবে পালটা ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ১৬৫ রানে অল-আউট হয়ে ম্যাচ হারে। এবার সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ ওয়ান ডে ম্যাচে আরও করুণ দশা অজিদের ব্য়াটিংয়ের।
এবার শ্রীলঙ্কা শুরুতে ব্যাট করে বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। তবে জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া কোনও রকমে ১০০ টপকেই অল-আউট হয়ে যায়। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে এমন একটা দলের কাছে ওয়ান ডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হতে হয় অজিদের, যারা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যোগ্যতা অর্জনই করতে পারেনি।
শুক্রবার কলম্বোয় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৮১ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। দাপুটে শতরান করেন কুশল মেন্ডিস। তিনি ১১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১৫ বলে ১০১ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
আরও পড়ুন:- ODI-তে দ্রুততম ৬০০০ রান, কোহলিকে টপকে আমলার বিশ্বরেকর্ড ছুঁলেন বাবর আজম
হাফ-সেঞ্চুরি করেন নিশান মদুষ্কা ও ক্যাপ্টেন চরিথ আসালঙ্কা। মদুষ্কা ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৭০ বলে ৫১ রান করে মাঠ ছাড়েন। আসালঙ্কা ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৬৬ বলে ৭৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া ২১ বলে ৩২ রান করে নট-আউট থাকেন জনিথ লিয়ানাগে। তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১টি করে উইকেট নেন বেন ডার্শিস, অ্যারন হার্ডি, শন অ্যাবট ও অ্যাডাম জাম্পা।
রেকর্ড ব্যবধানে ম্যাচ হার অস্ট্রেলিয়ার
পালটা ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ২৪.২ ওভারে ১০৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ১৭৪ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ হারে অস্ট্রেলিয়া। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কার এটাই সব থেকে বেশি রানের ব্যবধানে ম্যাচ জয়ের সর্বকালীন রেকর্ড।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সব থেকে বেশি ২৯ রান করেন ক্যাপ্টেন স্টিভ স্মিথ। ৩৪ বলের ইনিংসে তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ২৭ বলে ২২ রান করেন জোশ ইংলিস। তিনি ৪টি চার মারেন। এছাড়া ১৮ বলে ১৮ রান করেন ট্র্যাভিস হেড। তিনি ৩টি চার মারেন।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ৩৫ রানে ৪টি উইকেট নেন দুনিথ ওয়েলালাগে। ২৩ রানে ৩টি উইকেট নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ২৩ রানে ৩টি উইকেট নেন অসিথা ফার্নান্ডোও। দাপুটে শতরানের সুবাদে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন কুশল মেন্ডিস। দুই ম্যাচে ১টি শতরান ও ১টি অর্ধশতরান-সহ সাকুল্যে ২০৫ রান সংগ্রহ করে সিরিজের সেরা হন চরিথ আসালঙ্কা।