বিশ্বের ফুটবলের সর্বকালের দুই সেরা তারকার মধ্যে অন্যতম হয়ে গেছেন কিলিয়ান এমবাপে এবং লিওনেল মেসি। আর্জেন্তাইন সুপারস্টার মেসি আগেই সেই জায়গা নিয়েছেন। তবে ২০১৮ বিশ্বকাপ জেতার পর ২০২২ বিশ্বকাপেও নজরকাড়া ফুটবল খেলে এবং একের পর এক গোল করে এমবাপেও এখন বর্তমান ফুটবল বিশ্বের আলোকময় তারা।
২০২২ সালের শেষে বিশ্বকাপ জেতার পরই ২০২৩ সালের মাঝামাঝি প্যারিস সেন্ট জার্মেইন ছেড়ে দেন আর্জেন্তাইন তারকা লিওনেল মেসি। ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতায় পিএসজি সমর্থকরা আর মেসিকে মেনে নিতে পারেননি। এরপর ফ্রি ট্রান্সফারে তিনি আড়াই বছরের জন্য ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেন, এরপর থেকে সেখানকার টপ গোল স্কোরারও তিনি।
২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালে কিলিয়ান এমবাপের ফ্রান্সের মুখোমুখি হয়েছিল লিওনেল মেসির আর্জেন্তিনা। কাতারে সেই ম্যাচে ফ্রান্স টাইটেলল ডিফেন্ড করছিল। আর্জেন্তিনা দল ২-০তে এগিয়েও গেছিল মেসির পেনাল্টি এবং দি মারিয়ার অনবদ্য গোলের সুবাদে। তবে সকলে যখন ধরে নিয়েছে আর্জেন্তিনা বিশ্বজয় করছে, তখনই পরপর গোল করে ফরাসি তারকা এমবাপে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরান।
এরপর অতিরিক্ত সময় ফের মেসির গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্তিনা, কিছুক্ষণের মধ্যে গোল করে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরান এমবাপে। কুলো মুয়ানি এরপর ওয়ান টু ওয়ানে গোলরক্ষককে পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত চুয়ামেনি এবং কোমানের শট বাঁচিয়ে আর্জেন্তিনাকে বিশ্বকাপ জেতান এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ৪-২ গোলে পেনাল্টি শ্যুটআউটে ম্যাচ জেতে আর্জেন্তিনা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমবাপে বলেছেন মেসির ওপর তিনি কতটা রেগে ছিলেন, ফাইনাল হাররে জন্য। এমবাপের কথায়, ‘বিশ্বকাপের ফাইনালের পর যখন পিএসজির ট্রেনিংয়ে আমি মেসিকে দেখি, তখনও আমি অত্যন্ত রেগে ছিলাম। কিন্তু ও আমায় বলল যে আগে আমি জিতেছি, তাই এবার ওর জেতার কথা ছিল। এরপর আমরা হেসে ফেলি, কারণ অনেক বড় লড়াই আমরা লড়েছিলাম। ওই ফাইনাল ম্যাচের স্মৃতিগুলোই আমাদের কাছাকাছি এনেছিল ’।
এমবাপে আরও বলছেন, ‘আমি মেসির থেকে অনেক কিছু শিখেছি। মেসি সবই ভালো করে। ওর মতো মানুষের থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। আমি ওর কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতাম, কীভাবে এটা করে, কীভাবে ওটা করে? ’। এরপর কিলিয়ান এমবাপেও অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদে যোগদান করে পিএসজি ছেড়ে দেন। এখন মেসি আর এমবাপে, দুজনে রয়েছেন বিশ্বের অন্য প্রান্তে। মেসি বুড়ো বয়সে এসে ফর্মে থাকলেও, ছন্দে নেই এমবাপে।