৩০ বছর পর আইসিসির কোনও বড় টুর্নামেন্ট আয়োজিত হতে চলেছে পাকিস্তানে। সেই কারণে কোনও ধরণের কমতি রাখতে চাইছে না তারা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ব ক্রিকেটের হটস্পট হিসাবে নিজেদের মেলে ধরতে চাইছে পাকিস্তান। ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে। শেষ হবে ৯ মার্চ। আয়োজক দেশ পাকিস্তান হলেও ভারত সে দেশে খেলতে যেতে না চাওয়ায় তাদের ম্যাচগুলি দুবাইতে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানে ভেন্যু হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে - গদ্দাফি স্টেডিয়াম লাহোর, ন্যাশনাল স্টেডিয়াম করাচি এবং রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। প্রত্যেকটি স্টেডিয়ামকে এই মেগা ইভেন্টের জন্য সংস্কার করা হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে এই স্টেডিয়ামগুলিতে ট্রাই নেশন সিরিজ খেলা হবে, যেখানে অংশ নেবে পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।
এরকম পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার বিষয়টির ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। সেরকমই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে মাঠে যদি অতি উৎসাহী সমর্থক ঢুকে পড়ে সেই সময় কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে সেই বিষয়টির মহড়া দেওয়া হচ্ছে গদ্দাফি স্টেডিয়ামে। এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে প্লেয়ারদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে একেবারেই হালকা ভাবে নিতে চাইছে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। অতীতে একাধিকবার নানা অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী থেকেছে সে দেশের ক্রিকেট মহল। এমনকী ভারতও খেলতে না যাওয়ার কারণ হিসাবে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি তুলে ধরেছিল।
উল্লেখ্য, ১৯ দিন ধরে ৮ দলের লড়াই চলবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ওডিআই বিশ্বকাপের পর, কার্যত মিনি বিশ্বকাপ হিসাবে পরিচিত এই ইভেন্ট। গ্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। প্রতিযোগিতায় মোট ১৫টি ম্যাচ খেলা হবে। দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে দলগুলিকে। গ্রুপ এ-তে রয়েছে পাকিস্তান, ভারত, নিউজিল্যান্ড এবং বাংলাদেশ। অন্যদিকে গ্রুপ বি-তে রয়েছে ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আফগানিস্তান। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসাবে এই প্রতিযোগিতায় খেলতে নামবে পাকিস্তান। ২০১৭ সালে আয়োজিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতকে পরাজিত করে শিরোপা নিজেদের নামে করেছিল তারা। অন্যদিকে ২০১৩ সালে শেষবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল ভারত। সেই সময় দলের অধিনায়ক ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।