ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ছায়া এবার লঙ্কা টি-১০ লিগে। গ্রেপ্তার হলেন গল মার্ভেলসের মালিক প্রেম ঠাকুর। প্রসঙ্গত এই দলেই খেলেন বাংলাদেশের সুপারস্টার শাকিব আল হাসান। টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার একদিন পর বৃহস্পতিবার ঠাকুরকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং শুক্রবার কলম্বো ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়; তাঁকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কা পুলিশ ESPN ক্রিকইনফোকে জানিয়েছে যে ভারতীয় নাগরিক ঠাকুরকে শ্রীলঙ্কা স্পোর্টস পুলিশ ইউনিট ২০১৯-এর প্রিভেনশন অফ অফেন্সেস রিলেটিং টু স্পোর্টস অ্যাক্টের অধীনে গ্রেপ্তার করেছে।
ক্যান্ডির একটি হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়, যেখানে লঙ্কা টি-১০ টুর্নামেন্ট বর্তমানে চলছে। জানা যাচ্ছে, একজন বিদেশী খেলোয়াড় ঠাকুরের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তুলেছিলেন। ICC-র দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটের একজন প্রতিনিধিও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের অনুরোধে টুর্নামেন্টের তদারকি করতে শ্রীলঙ্কায় রয়েছেন। এই বছরের শুরুর দিকে LPL-র ক্ষেত্রেও এরকম তদারকি করা হয়েছিল। SLC এখনও এই বিষয়ে কিছু না বললেও, লঙ্কা টি-১০ টুর্নামেন্টের ডিরেক্টর সামান্থা ডোদানওয়েলা নিশ্চিত করেছেন যে টুর্নামেন্ট ‘নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এগিয়ে যাবে’।
এই বছর শ্রীলঙ্কায় এটি দ্বিতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট যেখানে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে কাউকে প্রিভেনশন অফ অফেন্সেস রিলেটিং টু স্পোর্টস অ্যাক্টের অধীনে গ্রেপ্তার করা হল। মে মাসে LPL ফ্র্যাঞ্চাইজি ডাম্বুলা থান্ডার্সের সহ-মালিক তামিম রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে, শ্রীলঙ্কা দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হয়ে ওঠে যারা ম্যাচ ফিক্সিংকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে। সে দেশে ক্রীড়া দুর্নীতি সংক্রান্ত অপরাধের জন্য বিভিন্ন জরিমানা এবং দশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের শাস্তির নিদান দেওয়া রয়েছে।
এতে অবশ্য অবাক হওয়ার কিছু নেই। দুনিয়া জুড়ে চলতে থাকা টি-১০ এবং টি-২০ লিগগুলিকে নিয়ে আগেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিল ICC। নিয়ম না মানা, ম্যাচ ফিক্সিং সহ একাধিক অভিযোগ আসছিল ICC-র কাছে। সেই মতো কড়া নজরদারি শুরু করা হয়েছিল তাদের তরফে। সম্প্ৰতি মার্কিন মুলুকে আয়োজিত ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ NCL-কে ব্যান করে তারা। আগামী মরশুম থেকে আর আয়োজিত হতে দেখা যাবে না ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ। মূলত প্রথম একাদশ খেলানো নিয়ে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে এই ক্রিকেট লিগের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, বারবার NCL-এ সর্বোচ্চ বিদেশি খেলানোর ICC-র যে নিয়ম রয়েছে তা লঙ্ঘন করা হয়েছে। প্রথম একাদশে ৬-৭ জন বিদেশি খেলানো যায় না। ICC-র নিয়ম অনুযায়ী, NCL-এর দলগুলির প্রথম একাদশে কমপক্ষে ৭ জন USA ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন বা সহযোগী সংস্থা অনুমোদিত ক্রিকেটার থাকতে হবে।