সিরিজের বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। সেই ম্যাচে ব্রিটিশ দলনায়ক লিয়াম লিভিংস্টোন নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে আসেন। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে দাপুটে জয় তুলে নিয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। এবার অধিনায়কোচিত শতরান করেন লিভিংস্টোন।
শনিবার অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঝুলিয়ে দেওয়া বিশাল রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করে দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড। এক্ষেত্রে পালটা শতরানে ক্যারিবিয়ান দলনায়ক শাই হোপের সেঞ্চুরি ব্যর্থ করেন ব্রিটিশ দলনায়ক লিয়াম।
বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৩২৮ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। শাই হোপ ১২৭ বলে ১১৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। তিনি ৮টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ৭৭ বলে ৭১ রান করেন কেসি কার্টি। তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ৩৬ বলে ৫৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন শেরফান রাদারফোর্ড। তিনি ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া ব্র্যান্ডন কিং ৭, এভিন লুইস ৪, শিমরন হেতমায়ের ২৪, রোস্টন চেস অপরাজিত ২০ ও ম্যাথিউ ফোর্ড অপরাজিত ২৩ রান করেন। ইংল্যান্ডের হয়ে জন টার্নার ৪২ রানে ২টি উইকেট নেন। ৬২ রানে ২টি উইকেট নেন আদিল রশিদ। ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন জোফ্রা আর্চার ও লিয়াম লিভিংস্টোন। ইংল্যান্ড এই ম্যাচে মোট ৯ জন বোলার ব্যবহার করে।
রান তাড়া করে দাপুটে জয় ইংল্যান্ডের
পালটা ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ৪৭.৩ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩২৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ১৫ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জেতে ইংল্যান্ড। লিয়াম লিভিংস্টোন ৮৫ বলে ১২৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। মারেন ৫টি চার ও ৯টি ছক্কা।
ফিল সল্ট ৫৯ বলে ৫৯ রান করেন। মারেন ৮টি চার। ৫৭ বলে ৫৫ রান করেন জেকব বেথেল। মারেন ৪টি চার ও ২টি ছক্কা। ৫২ বলে ৫২ রান করেন স্যাম কারান। তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৪৮ রানে ৩টি উইকেট নেন ম্যাথিউ ফোর্ড। ৫৩ রানে ১টি উইকেট নেন রোস্টন চেস। ৭২ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন শামার জোসেফ। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন লিয়াম লিভিংস্টোন।