শুভব্রত মুখার্জি:- রাজনৈতিকভাবে বেশ একটা অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এই মুহূর্তে ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরার লড়াই চালাচ্ছে তারা। এমন আবহে গোটা দেশের হয়ে দুর্দান্ত সুখবর নিয়ে এল জাতীয় সিনিয়র পুরুষ ক্রিকেট দল। পাকিস্তানের মাটিতে প্রথমবার তো বটেই এমনকি লাল বলের ফর্ম্যাট অর্থাৎ টেস্ট ক্রিকেটেও তারা প্রথমবার সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে। রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে ছয় উইকেটে জিতে দুই ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান দলকে হোয়াইট ওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। যদিও দ্বিতীয় টেস্টে একটা সময় বেশ ব্যাকফুটে ছিলেন তারা।সেই জায়গা থেকে এক অনবদ্য শতরান করে দলকে লড়াইতে ফেরান লিটন দাস।
দলের জয়ে অনবদ্য শতরান করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ম্যাচ সেরারও পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। পুরস্কার পাওয়ার পর তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য নিজের উপর বিশ্বাস রেখেছি। দীর্ঘ সময় উইকেটে টিকে থাকার পরিকল্পনা করে খেলেছি।আর তাতেই কাজ হয়েছে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লিটন দাস জানান ' আমি নিজের উপর শুধু বিশ্বাসটা রেখেছি।ওই স্পেলে (বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে) পাকিস্তান খুব ভালো বল করেছে। আমি এবং মিরাজ (মেহেদি হাসান মিরাজ) দীর্ঘক্ষণ ব্যাট করার পরিকল্পনা করি।সেইমত আমরা এগোতে থাকি। এরপর মিরাজ একটা চার এবং একটা ছয় মারে।তারপরেই খেলার মোমেন্টামটা ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয়। এরপর হাসান যখন ব্যাট করতে নামে তখন আমার হাতে রান করার মতন সুযোগ কম ছিল।ফলে আমি সময় নিয়ে খেলি। যত বেশি সম্ভব ওভার আমি নিজে খেলার দিকে নজর দিই। হাসানকেও ক্রেডিট দিতেই হবে। ও বেশ ভালো ব্যাট করছিল।'
তিনি আরো যোগ করেন ' টেস্টে আমি কিপিং করতে ভালোবাসি।এটাই আমার দলে অন্যতম রোল।আমি যখন উইকেটের পিছনে ভালো পারফরম্যান্স করি তখন আমার দলও ভালো পারফরম্যান্স করে।আমরা যখন প্রথম পাকিস্তানে আসি তখনও দেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এখানে(পাকিস্তানে) আমরা তাই কয়েকদিন আগেই আসি। অনুশীলন শুরু করি। কঠোর অনুশীলন করেছি।তবে সবটাই একটা দলগত এফোর্ট।সেটা না হলে এই জয় সম্ভব হত না।সবাইকে ক্রেডিট দিতেই হবে। কোচিং স্টাফদেরও কৃতিত্ব কম না।এই গরমে এসে খেলাটা কিন্তু মোটেও মুখের কথা নয়।'
আরও পড়ুন-সিন্ধুরা পারেননি, পারলেন শরদরা! টোকিয়োর সাফল্য প্যারিসে টপকাল প্যারালিম্পিয়ানরা…
প্রসঙ্গত বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে ১৩৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন। ২২৮ বলে করেছিলেন ১৩৮ রান। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১৩ টি চার এবং চারটি ছয়ে। সপ্তম উইকেটে মেহেদি হাসান মিরাজকে সঙ্গী করে যোগ করেছিলেন ১৬৫ রান।