বড় মঞ্চে সেঞ্চুরি করার পরে বিরাট কোহলিকে প্রায়শই এমন প্রশ্ন শুনতে হয়েছে যে, এটাই তাঁর কেরিয়ারের সেরা ইনিংস কিনা বা তিনি নিজে কোন সেঞ্চুরিকে সবার আগে রাখবেন। বড় সাফল্যের ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের কোন জয়কে সব থেকে এগিয়ে রাখবেন, এমন প্রশ্ন অস্বস্তিতে ফেলে না মোটেও। তবে কোনও খেলোয়াড়কে যদি বেদনাদায়ক ব্যর্থতার রেটিং করতে বলা হয়, সেটা সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়ের আবেগে আঘাত করবে নিশ্চিত।
আইপিএল ২০২৫ শুরুর আগে লখনউ সুপার জায়ান্টস এমনই কাজ করে অভিজ্ঞ প্রোটিয়া তারকা ডেভিড মিলারের সঙ্গে। মিলারের চোখে মুখে হতাশা ফুটে ওঠে স্পষ্ট। সঙ্গত কারণেই ক্রিকেটপ্রেমীরা ভালো চোখে দেখেছে না লখনউয়ের এমন কাজকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়ে জিয়েছে জোর সমালোচনা।
গুজরাট টাইটানস এবছর আইপিএল নিলামের আগে ডেভিড মিলারকে রিটেন করেনি। পরে আইপিএল ২০২৫-এর নিলাম থেকে মিলারকে ৭.৫ কোটি টাকায় দলে নেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ক্রিকেটারদের সামনে রেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজিই। ফ্যানবেস বাড়াতে ক্রিকেটারদের বিভিন্ন মুহূর্তের ভিডিয়ো পোস্ট করা হয় আইপিএল দলগুলির তরফে।
লখনউ সুপার জায়ান্ট এক্ষেত্রে ডেভিড মিলারের আঁতে ঘা দিয়ে একটি সাক্ষাৎকার নেয় এবং সেটি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনিতেই বড় মঞ্চে বারবার ব্যর্থ হয় বলে চোকার্স তকমা সেঁটে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের কপালে। মিলারের কাছেও বিষয়টি যে অত্যন্ত আক্ষেপের সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে এক্ষেত্রে লখনউয়ের তরফে প্রোটিয়া তারকার কাছে একের পর বেদনাদায়ক হারের ঘটনা তুলে ধরে জানতে চাওয়া হয়, কোনটি সব থেকে বেশি হৃদয় বিদারক।
লখনউয়ের তরফে মিলারের সামনে বড় ম্যাচে হারের যে তালিকা রাখা হয়, তাতে রয়েছে-
১. গুজরাট টাইটানসের হয়ে ২০২৩ আইপিএলের ফাইনালে চেন্নাইয়ের কাছে হার।
২. পঞ্জাব কিংসের হয়ে ২০১৪ আইপিএলের ফাইনালে কেকেআরের কাছে হার।
৩. দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব ছেকে ছিটকে যাওয়া।
৪. দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২০১৯ ওয়ান ডে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া।
৫. দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের কাছে হার।
৬. দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২০২৩ ওয়ান ডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার।
৭. দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে নিউজিল্যন্ডের কাছে হার।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার বাধ্যবাধতকা থেকে মিলার ভাঙা মনে বেছে নেন ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের কাছে হারকে। এমন ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। উল্লেখ্য, গত বছর লোকেশ রাহুলের সঙ্গে লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজির খারাপ ব্যবহার নিয়েও বিস্তর বিতর্ক দেখা দেয়। এবার মরশুম শুরুর আগেই ফের নেতিবাচক দিক দিয়ে নেটিজেনদের চর্চায় লখনউ।