শামি থেকে বুমরাহ, সিরাজ থেকে উমেশ, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় ক্রিকেট হদিশ দিয়েছে দুর্দান্ত সব পেস বোলারের। সকলেই যে আগুনে গতিতে বল করেন, এমনটা নয় মোটেও। বরং গতির সঙ্গে বৈচিত্র্য ও নিয়ন্ত্রণই বিশ্বমানের বোলারে পরিণত করেছে শামি-বুমরাহদের।
তবে এমনটা নয় যে, ভারতীয় ক্রিকেট আগুনে গতির পেসারের হদিশ দেয়নি। আইপিএলের মঞ্চেই নিজের গতি দিয়ে সকলকে চমকে দেন উমরান মালিক। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও তাঁকে যাচাই করা হয়। যদিও সর্বোচ্চ মঞ্চে গিয়ে উমরান টের পান যে, শুধু গতি দিয়ে ব্যাটসম্যানদের উপরে ছড়ি ঘোরানো যায় না। ফলে এই মুহূর্তে স্পটলাইটের আড়ালে চলে গিয়েছেন তিনি।
উমরানকে দেখেই শিক্ষা নিয়েছেন মায়াঙ্ক যাদব, যিনি আইপিএলের মঞ্চে আবির্ভাবেই ১৫৫.৮ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার বল করে চমকে দিয়েছেন সকলকে। লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে চমকপ্রদ আবির্ভাবের পরে মায়াঙ্ক জানালেন, বিশ্বের দ্রুততম বোলার হওয়া তাঁর লক্ষ্য নয়। তাঁর উদ্দেশ্য বিশ্বের সেরা বোলার হওয়া।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মায়াঙ্ক বলেন, ‘আমি কখনই বিশ্বের দ্রুততম বোলার হওয়ার কথা ভাবি না। এমন কোনও স্বপ্নও নেই আমার। আমি চাই বিশ্বের সেরা বোলার হতে। যত কম সম্ভব রান খরচ করা এবং ধারাবাহিকতা বজাই রাখাই আমার লক্ষ্য। গতি আমার বোলিংয়ের প্লাস পয়েন্ট। সঠিক লাইন-লেনথ বজায় রাখা, ঠিক জায়গায় বল ফেলার মতো বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গতি শুধু সেগুলিকে আরও ধারালো করে তোলে মাত্র।’
সুতরাং মায়াঙ্কের উপলব্ধি এই যে, সঠিক লাইন-লেনথে বল করলে গতি একজন বোলারের সব থেকে বড় হাতিয়ার হতে পারে। তা নাহলে জোরে বল করেও কোনও লাভ নেই। যদিও গতিই যখন মায়াঙ্কের সব থেকে ইতিবাচক দিক, তখন সেটাকেই কাজে লাগানোর পরামর্শ পেয়েছেন ক্যাপ্টেন লোকেশ রাহুলের কাছ থেকে।
মায়াঙ্ক বলেন, ‘লোকেশ ভাই আমাকে একটা পরামর্শ দিয়েছে। সব কিছু যত সহজভাবে ভাববে, কাজ তত সহজ হয়ে দাঁড়াবে। এই পরামর্শ কাজেও দিয়েছে। ক্যাপ্টেন আমাকে বলে যে, আমার প্রধান হাতিয়ার হল গতি। সুতরাং, সেটার উপর আমার নির্ভর করা উচিত। সেটাকে আরও পরিণত করা দরকার। রান খরচের কথা না ভেবে গতিকেই যথাযথ ব্যবহার করা দরকার। এও বলে যে, প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছি বলে চাপ থাকবেই। তাই চাপ নিয়ে ভেবে লাভ নেই। মাঠে গিয়ে শুধু নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী বল করতে বলে আমাকে।’