বিসিসিআইয়ের কোপের মুখে মহারাষ্ট্রের ব্যাটার অঙ্কিত বাউনি। বৃ্হস্পতিবারই জানা গেল তাঁকে এক ম্যাচের জন্য নির্বাসিত করেছে বিসিসিআই। ফলে নাসিকে আয়োজিত রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে বরোদার বিরুদ্ধে তিনি খেলতে পারলেন। রঞ্জির ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচের আগেই বোর্ডের তরফে মহারাষ্ট্র দলকে জানানো হয় যে তাঁদের ক্রিকেটারকে নির্বাসিত করা হয়েছে বিসিসিআইয়ের শৃঙ্খলাভঙ্গ করায়।
আরও পড়ুন-৯ বছরের দাবাড়ুর কাছে হার কার্লসেনের? বাংলাদেশের দাবাড়ুর দাবিতে তোলপার বিশ্ব
শৃঙ্খলাভঙ্গ করায় ১ ম্যাচ নির্বাসিত মহারাষ্ট্রের ক্রিকেটার
আসলে গত বছর নভেম্বর মাসে এমসিএ গ্রাউন্ডে সার্ভিসেসের সঙ্গে খেলা ছিল মহারাষ্ট্রের। গ্রুপ এর সেই ম্যাচে অঙ্কিত বাউনির ক্যাচ স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা শুভম রোহিল্লা নিয়েছিলেন অমিত শুক্লার বোলিংয়ে। কিন্তু ব্যাটার অঙ্কিত সেই সিদ্ধান্তে অখুশি ছিলেন, তাই মাঠ ছাড়েননি। তাঁর দাবি ছিল বল মাটিতে ড্রপ খেয়েছে ক্যাচের আগে। এর জেরে প্রায় ১৫ মিনিট বন্ধ ছিল সেই ম্যাচ।
আম্পায়ারের ভুল, নির্বাসিত ক্রিকেটার-
আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল না তা পরে দেখা যায়। কিন্তু যেহেতু রঞ্জি ট্রফিতে ডিআরএস সিস্টেম নেই, তাই সেই সময় ডিআরএস নিতে পারেননি অঙ্কিত। এরপর ম্যাচ রেফারি অমিত শর্মা এবং মহারাষ্ট্রের কোচ সুলক্ষণ কুলকার্নি এসে তাঁকে বুঝিয়ে মাঠের বাইরে পাঠান। সেই ম্যাচে তিনি মহারাষ্ট্র দলের অধিনায়কত্বও করছিলেন। বরোদার বিপক্ষে ম্যাচের আগেই মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয় বিসিসিআইয়ের দেওয়া নির্বাসনের কারণে একটি ম্যাচে খেলতে পারবেন না অঙ্কিত বাউনি, তবে পরের ম্যাচেই তিনি আবার নির্বাসন কাটিয়ে ফিরতে পারেন।
আরও পড়ুন-রেস্তোরাঁয় একা শ্রেয়সকে দেখে ভক্তের অনুরোধ অটোগ্রাফের! খোশমেজাজে তুললেন সেলফিও
অঙ্কিত পাশে দাঁড়ায় রুতুরাজ-
মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘আমরা বিসিসিআইয়ের দেওয়া সিদ্ধান্তকে মেনে নিচ্ছি। আর ক্রিকেটের শৃঙ্খলারক্ষার জন্য একনিষ্ঠভাবে চেষ্টা করছি। আমাদের দলের ফোকাস রয়েছে এই ম্যাচে ভালো পারফরমেন্স করার দিকে। আমরা অঙ্কিতকে আগামী ম্যাচ থেকে পাব’। এর আগে মহারাষ্ট্রের অধিনায়ক রুতুরাজ গায়েকওয়াড়ও অঙ্কিত বাউনির সেই ক্যাচের ছবি নিজের সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেখিয়েছিলেন যে তাঁর সতীর্থকে আউটের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল।
অঙ্কিতের পাশে কোচ-
মহারাষ্ট্রের কোচ অবশ্য বাউনির পাশে দাঁড়িয়েই বলছেন, ‘প্লেয়ারদের তো ভুল হলে তাঁদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, জরিমানা করা হচ্ছে। তাহলে আম্পায়দেরই বা ঠিকঠাক মূল্যায়ণ করা কবে হবে? কেন যে আম্পায়াররা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, খেলার ক্ষতি করেছে। তাঁদেরকে দিয়েই বারবার ম্যাচ পরিচালনা করা হচ্ছে? এরকম বড় ভুল হলে ক্রিকেটারদের বিরক্তি প্রকাশটাই স্বাভাবিক ’।