আরসিবির প্রাক্তন ক্রিকেটার মহিপাল লোমরোর নজর কাড়লেন রঞ্জি ট্রফিতে। আইপিএলের নিলামের আগে প্রায় সব ক্রিকেটারই চেষ্টা করলেন নজর কাড়তে। এমনিতে রঞ্জি মানে টেস্টের ছোট ফর্ম্যাট আরকি। যেখানে ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েই রান তুলতে হয়। কিন্তু আইপিএলের সুবাদে ভারতীয় দলই টেস্ট ম্যাচ খেলে টি২০র ঢং, ফলে রঞ্জিতে অন্তত একদিনের ঢংয়ে যে রান তুলবেন ক্রিকেটাররা সেটা জানা কথা।
আরও পড়ুন-'আমাদের দেশে আসছে না তো, আমরাও আর ভালো ব্যবহার…'! BCCIকে চরম বার্তা পাকিস্তানের…
রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে দেরাদুনের অভিমন্যু ঈশ্বরণ ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাঠে উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল রাজস্থানের। বর্তমানে মহিপাল লোমরোর খেলেন ভিন রাজ্যের হয়ে। অর্থাৎ নিজে নাগপুরের ছেলে হলেও তিনি মুম্বই দলের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে খেলেন না। আর রাজস্থানের হয়ে এবার ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচেই নজর কাড়লেন এই ওপেনার।
আরও পড়ুন-ODI ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে গিয়েছে! অথচ নিজেই জানতেন না! অবাক করা গল্প বললেন পাক ক্রিকেটার!
গত ম্যাচে হায়দরাবাদের বিপক্ষেও শতরান করেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটিং অলরাউন্ডার। এবার রঞ্জি ট্রফিতে দুর্বল উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে তিনি করলেন ত্রিশতরান। আরসিবি তাঁকে দলে না রেখে যে খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ করেনি সেটাই যেন আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন তিনি। একই সঙ্গে নিলামের আগে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির গুডবুকেও নাম তুলে নিলেন তিনি।
রঞ্জি ট্রফির প্রথম দিনেই তিনি করেছিলেন শতরান। তখনই মনে করা হচ্ছিল তাঁর ব্যাটিং দেখে, এবার হয়ত বড় রানের দিকেই এগোবেন তিনি। কিন্তু সেটা যে ট্রিপল সেঞ্চুরি, সেটা তখন অবশ্য অনুমান করা যায় নি। তাঁর অপরাজিত ৩০০ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ২৫টি চার এবং ১৩টি ওভারবাউন্ডারিতে। অর্থাৎ ব্যাট হাতে বেশ চার-ছয় হাঁকিয়েই তিনি এই রান তুলেছেন।
আরও পড়ুন-অজিভূমে যাওয়ার আগেই স্লেজিং শুরু, খারাপ ফর্ম নিয়ে বিরাটকে মারাত্মক খোঁটা দিলেন পন্টিং
ফার্স্ট ডাউনে খেলতে নেমে দলের ইনিংস ডিক্লিয়ার পর্যন্তই উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে মাঠে ছিলেন মহিপাল লোমরোর। তাঁর দল রাজস্থান অপেক্ষা করছিল মহিপালের ত্রিশতরানের, সেটা হতেই ৭ উইকেটে ৬৬০ রান তুলে ইনিংস ডিক্লিয়ার করার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থানের অধিনায়ক। শতরানের পর ত্রিশতরান, স্বাভাবিকভাবেই ২৪-২৫ নভেম্বরের নিলামের আগে লাইমলাইটে এনে দিল আরসিবির এই প্রাক্তনীকে।