চলতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ ড্র করলেও পরবর্তী ৩ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ এক ম্যাচ বাকি থাকতেই হেরে বসে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে তবু কিছুটা লড়াই চালান মেহেদি হাসান মিরাজরা। দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্য়াচে বাংলাদেশকে হারাতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি ক্যারিবিয়ানদের।
ওয়ার্নার পার্কের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরু থেকে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা। মাত্র ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় তারা। সেই চাপ কাটিয়ে ডাকাবুকো ব্যাটিং সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের পক্ষে।
ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মহমুদুল্লাহ হাফ-সেঞ্চুরি করেন বটে, তবে তিনি কার্যত টেস্টের গতিতে রান তোলেন। দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৬২ রান করতে মাহমুদুল্লাহ খরচ করেন ৯২টি বল। তিনি ২টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। অর্থাৎ, মাহমুদুল্লাহর স্ট্রাইক-রেট ছিল ৬৭.৩৯।
এছাড়া ৩৩ বলে ৪৬ রান করেন তানদিজ হাসান। তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ৬২ বলে ৪৫ রান করেন তানজিম হাসান শাকিব। তিনিও ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। আফিফ হোসেন ২৪ ও শরিফুল ইসলাম ১৫ রানের যোগদান রাখেন। ক্যাপ্টেন মেহেদি হাসান ৫ বলে ১ রান করে আউট হন। ১৯ বলে ৪ রানের ঠুকঠুকে ইনিংস খেলেন লিটন দাস।
বাংলাদেশ ৪৫.৫ ওভারে ২২৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৯ ওভারে ২২ রান খরচ করে ৪টি উইকেট নেন জয়ডেন সিলস। ৩৬ রানে ২টি উইকেট নেন গুড়াকেশ মোতি।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ওয়স্ট ইন্ডিজ ৩৬.৫ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২৩০ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৭৯ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলে ক্যারিবিয়ান দল।
ওপেন করতে নেমে ব্র্যান্ডন কিং ৭৬ বলে ৮২ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন। তিনি ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ৬২ বলে ৪৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন এভিন লুইস। তিনি ২টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ৪৭ বলে ৪৫ রান করে আউট হন কেসি কার্টি। তিনি ৭টি বাউন্ডারি মারেন। ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২১ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন শাই হোপ। ১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৫ বলে ২৪ রান করে নট-আউট থাকেন শেরফান রাদারফোর্ড।
বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন নাহিদ রানা, রিশাদ হোসেন ও আফিফ হোসেন। দুরন্ত বোলিংয়ের সুবাদে ম্যাচের সেরা হন জয়ডেন সিলস।