আফগানিস্তানের তারকা খেলোয়াড় রশিদ খান বুধবার টেক্সাস সুপার কিংসের (টিএসকে) বিরুদ্ধে তাদের মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) এলিমিনেটরের ম্যাচে এমআই নিউইয়র্কের (মিনি) হয়ে তার ঝলমলে অর্ধশতরানের একটি ইনিংস খেলেন। এমআই নিউইয়র্কের হয়ে রশিদই সর্বোচ্চ রান করেন।
আরও পড়ুন: বেলিসের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানতে চলেছে PBKS, খোঁজ চলছে ভারতীয় কোচের- রিপোর্ট
স্বাভাবিকের চেয়ে উপরের দিকেই এই ম্যাচে ব্যাট করতে নেমেছিলেন রশিদ। পাঁচে ব্যাট করতে নেমে তিনি ৩০ বলে ৫৫ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলেন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল চারটি করে চার এবং ছয়। রশিদের স্ট্রাইক রেট ছিল ১৮৩.৩৩। আর রশিদের সৌজন্যেই ১৫০ রানের গণ্ডি টপকায় এমআই নিউইয়র্ক। তারা নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৩ রান করে। রশিদ ছাড়া মোনাক প্যাটেল করেন ৪১ বলে ৪৮ রান। ২৩ বলে ২৬ করেন শায়ন জাহঙ্গীর। এর বাইরে এমআই নিউইয়র্কের কোনও ব্যাটার এক অঙ্কের গণ্ডিও টপকাতে পারেননি।
যাইহোক রশিদের ইনিংসে যেটি সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল, সেটি হল মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো ‘হেলিকপ্টার’ শট হাঁকানো। একেবারে ধোনির শটের প্রতিলিপি করতে দেখা গিয়েছে রশিদকে। প্রায় অফ-স্টাম্প থেকে অন-সাইডের দিকে একটি চাবুকের মতো শট। এরকম শটে চোখ বুজে ছক্কাই হয়। তবে বুধবার রশিদ এতে তাঁর নিজস্ব উদ্ভাবনের একটি স্পর্শ যোগ করেছেন। পেসার অ্যারন হার্ডির একটি বলে অনুভূমিক ভাবে ব্যাট চালিয়ে শটটি খেলেন রশিদ। যা অভিনব।
আরও পড়ুন: দে দো ভাইয়া ব্যাট… কোহলির পর এবার সূর্যের কাছে আবদার শুরু করলেন রিঙ্কু
এদিন টস জিতে টেক্সাস সুপার কিংস ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল এমআই নিউইয়র্ককে। শুরু থেকেই নড়বড় করছিল এমআই নিউইয়র্ক। কিন্তু রশিদই দলের হাল ধরে ভদ্রস্থ জায়গায় তাদের পৌঁছে দেয়। টেক্সাস সুপার কিংসের হয়ে মার্কাস স্টইনিস, অ্যারন হার্ডি ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। রান তাড়া করতে নেমে খুব সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টেক্সাস। ওপেন করতে নেমে ডেভন কনওয়ে এবং ফ্যাফ ডু'প্লেসি মিলেই দলকে ১০০ রানের গণ্ডি পার করিয়ে দেন। ৬টি চার এবং ৩টি ছক্কার হাত ধরে ৪৭ বলে ৭২ রান করে আউট হন ফ্যাফ। কনওয়ে ৪৩ বলে ৫১ করে অপরাজিত থাকেন। কনওয়ের সঙ্গে তিনে নেমে অ্যারন হার্ডি ২২ বলে ৪০ রান করে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। ৯ বল বাকি থাকতে ১ উইকেটে ১৬৭ রান করে ম্যাচ পকেটে পুড়ে ফেলে টেক্সাস সুপার কিংস। এমআই নিউইয়র্ক ম্যাচটি হারলেও, রশিদের ইনিংসটি কিন্তু নিঃসন্দেহে বিশেষ হয়ে থেকে গিয়েছে।