শুভব্রত মুখার্জি: ২০২১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া দল। সেই দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন অলরাউন্ডার মার্কাস স্টোইনিস। তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ভর করে বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে সক্ষম হয়েছিল অজিরা। আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপেও তিনি অজি দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন বলেই আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়েও যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স ছিল তাঁর। আর ভারতেই যেহেতু এবারের বিশ্বকাপ খেলা হবে, তাই তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে বলেই মনে করছেন অনেকেই। আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা কি ভারতে বিশ্বকাপে তাঁকে সহায়তা করবে? এই প্রশ্নের উত্তরে সোজাসুজি জবাব দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করে বিশ্বের এক নম্বর ODI টিম হিসেবে এশিয়া কাপ খেলতে নামবে পাকিস্তান
গত আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে ১৭০ স্ট্রাইক রেটে ৪৮০ রান করেছিলেন মার্কাস স্টোইনিস। পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অজিদের হয়ে এবারেও ভারতে ভালো পারফরম্যান্স করার বিষয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী তিনি। স্টোইনিস বলেন, ‘আমি সবার সঙ্গে একটা বিষয়ে একমত যে, আমাদের এবারের দলটাও খুব ভালো এবং শক্তিশালী। আপনি যদি খেলার প্রতিটি বিভাগ দেখেন, তাহলে দেখবেন, প্রতিটি বিভাগেই অজিদের বেশ কিছু বিশ্ব সেরা ক্রিকেটার রয়েছে। টপ অর্ডারে আমাদের পাওয়ার হিটার রয়েছে। যারা ছন্দটা গড়ে দিতে পারে। মিডল অর্ডারেও আমাদের বেশ কিছু ভালো ব্যাটার রয়েছে। আমাদের লোয়ার মিডল অর্ডারও খুব শক্তিশালী। ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ রানের যোগদান তারাও করতে পারবে। আমাদের হাতে বেশ কিছু দুর্দান্ত পেস বোলার রয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু ভালো স্পিনারও রয়েছে আমাদের দলে। দলে বেশ ভালো ভারসাম্য রয়েছে। বেশ ভালো একটা দল রয়েছে আমাদের কাছে।’
আরও পড়ুন: রাহুল খেলবেন, নাকি ইশান? কী হবে বাবরদের বিরুদ্ধে ভারতের ব্যাটিং অর্ডার?
পাশাপাশি মার্কাস স্টোইনিস যোগ করেছেন, ‘আমি আমার নবম আইপিএল খেলতে চলেছি সামনের বছর। আমাদের অনেক ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার, ম্যাক্সি ( গ্লেন ম্যাক্সওয়েল), অ্যাডাম জাম্পা, জস হ্যাজেলউড ,প্যাট কামিন্স, আর এখন ক্যামেরুন গ্রিনও আইপিএলে খেলছে। আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। বলা যায়, অনেকটাই পার্থক্য গড়ে দেবে। আমাদের পরিবেশ পরিস্থিতির বিষয়ে ভালো ধ্যান ধারণা রয়েছে। এই ধরনের পিচে আমরা যেহেতু খেলেছি সুতরাং জানি, বিশ্বকাপে কোন ভেন্যুতে আমরা ২২ গজ থেকে কী আশা করছি। মাঠের বিভিন্ন কোনার পাশাপাশি সব কিছুর অ্যাঙ্গেলও ভালোভাবে জানা। যা আমাদের শট খেলতে সহায়তা করবে। কোন শট কখন খেলব, তাতে অনেকটা সুবিধে হবে। ফলে বিশ্বকাপের মতন অত্যধিক চাপের এক টুর্নামেন্টে আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা অনেকটাই পার্থক্য গড়ে দেবে।’