পার্টটাইম বল করে উইকেট তোলেন বটে, তবে মার্ক চাপম্যানকে মূলত ব্যাটার হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। তবে কিউয়ি তারকা যে একজন দক্ষ ফিল্ডার, তার প্রমাণ দিলেন আরও একবার। মঙ্গলবার লঙ্কা প্রিমিয়র লিগের আসরে শূন্যে শরীর ছুঁড়ে যেভাবে মহম্মদ ওয়াসিমের ক্যাচ ধরেন চাপম্যান, তাকে এককথায় অসাধারণ বলতেই হয়।
কলম্বোয় চলতি লঙ্কা প্রিমিয়র লিগের ২০তম ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে ডাম্বুলা সিক্সার্স ও কলম্বো স্ট্রাইকার্স। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ডাম্বুলা। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়।
দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪০ রান করেন ক্যাপ্টেন মহম্মদ নবি। ৩৩ বলের ইনিংসে তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ২৯ বলে ২৬ রান করেন চামিন্দু বিক্রমাসিংহে। তিনি ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। নুয়ানিদু ফার্নান্ডো ১৫ ও দুশান হেমন্ত ১০ রানের সংক্ষিপ্ত যোগদান রাখেন।
কলম্বোর হয়ে বিনুরা ফার্নান্ডো ৪ ওভারে ১টি মেডেন-সহ ১৫ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন। ১৮ রানে ২টি উইকেট নেন দুনিথ ওয়েলালাগে। ৪ ওভারে ২৫ রান খরচ করে ২টি উইকেট তুলে নেন মাথিসা পথিরানা। ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচ করেও উইকেট পাননি শাদব খান।
জয়ের জন্য কলম্বোর সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় মোটে ১২৪ রানের। যদিও এমন ছোটখাটো লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে পালটা ব্যাট করতে নেমে কলম্বো স্ট্রাইকার্স ১৮.১ ওভারে ৯৫ রানে অল-আউট হয়ে যায়। লো-স্কোরিং ম্যাচে ২৮ রানে জয় তুলে নেয় ডাম্বুলা।
দ্বিতীয় ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের নমুনা পেশ করেন মার্ক চাপম্যান। ১.৫ ওভারে নুয়ান প্রদীপের বলে মিড-অনের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা করেন ওয়াসিম। তবে বল ঠিক মতো কানেক্ট হয়নি ব্যাটে। যদিও বল নো ম্যানস ল্যান্ডে গিয়ে পড়ার সম্ভাবনাই ছিল বেশি। তবে চাপম্যানের ক্ষিপ্রতার জন্যই এক্ষেত্রে আউট হতে হয় ওয়াসিমকে।
চাপম্যান অনেকটা দৌড়ে গিয়ে শূন্য শরীর ছুঁড়ে দেন। বল মাটিতে ড্রপ পড়ার ঠিক আগের মুহূর্তে দু'হাতে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন চাপম্যান। কিউয়ি তারকার এমন অসাধারণ ফিল্ডিংয়ের জন্যই ব্যক্তিগত ১৫ রানের মাথায় আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ওয়াসিমকে। ৬ বলের ইনিংসে তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
ক্যাপ্টেন থিসারা পেরেরা ৩১ বলে ৩০ রান করেন। যদিও কলম্বোকে ম্যাচ জেতানোর পক্ষে যথেষ্ট ছিল না তাঁর প্রয়াস। নুয়ান প্রদীপ ২০ রানে ৩ উইকেট দখল করেন। নবি ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচ করে ১টি উইকেট সংগ্রহ করেন। ম্যাচেন সেরা হন নবি।