বিশ্বকাপ থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ লিগের আসরে ফিরে ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন নিউজিল্যান্ডের মার্ক চাপম্যান। যদিও তাঁর দুরন্ত লড়াই ব্যর্থ হয় দাসুন শানাকার অল-রাউন্ড পারফর্ম্যান্সের ফলে। ব্যাটে-বলে শানাকার দুরন্ত লড়াইয়ের জন্যই লঙ্কা প্রিমিয়র লিগের প্রথম ম্যাচে ডাম্বুলা সিক্সার্সের বিরুদ্ধে দাপুটে জয় তুলে নেয় ক্যান্ডি ফ্যালকনস।
পাল্লেকেলেতে লঙ্কা প্রিমিয়র লিগ ২০২৪-এর উদ্বোধনী ম্যাচে টস জেতেন ক্যান্ডির ক্যাপ্টেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তিনি শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান মহম্মদ নবির নেতৃত্বাধীন ডাম্বুলাকে। ডাম্বুলা পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই একসময় মাত্র ২৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে। সেখান থেকে চাপম্যান ও চামিন্দু বিক্রমাসিংহের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ভর করে তারা লড়াই করার রসদ জোগাড় করে নেয়।
ডাম্বুলা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৯ রান সংগ্রহ করে। মার্ক চাপম্যানকে শতরানের দোরগোড়ায় থেমে যেতে হয়। তিনি ব্যক্তিগত ৯১ রানে নট-আউট থাকেন। ৬১ বলের ইনিংসে চাপম্যান ৮টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ৪২ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন বিক্রমাসিংহে। তিনি ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
দনুস্কা গুণতিলকে ১১, নুয়ানিদু ফার্নান্ডো ৪ ও তৌহিদ হৃদয় ১ রান করে আউট হন। খাতা খুলতে পারেননি কুশল পেরেরা। ক্যান্ডির হয়ে ৪ ওভারে ২০ রান খরচ করে ৩টি উইকেট তুলে নেন শানাকা। ১টি উইকেট নিলেও ৪ ওভারে ৫৩ রান খরত করেন মহম্মদ হাসনাইন। হাসারাঙ্গা ৪ ওভারে ৩২ রান খরচ করেন। কোনও উইকেট পাননি তিনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ক্যান্ডি ১৭.২ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ১৬ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। ওপেন করতে নেমে লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন দীনেশ চণ্ডীমল। তিনি ৪০ বলে ৬৫ রান করেন। মারেন ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা। ২০ বলে ২৭ রান করেন কামিন্দু মেন্ডিস। তিনি ৪টি চার মারেন।
আরও পড়ুন:- Top 10 Wicket Takers: এবারের T20 বিশ্বকাপে সর্বাধিক উইকেট, সেরা ১০-এ দুই ভারতীয়
২০ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১৫ বলে ৪৬ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন দাসুন শানাকা। তিনি ৩টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। খাতা খুলতে পারেননি আন্দ্রে ফ্লেচার। ৫ রানে আউট হন মহম্মদ হ্যারিস।
ডাম্বুলার হয়ে ১টি উইকেট নিলেও ৩ ওভারে ৪৪ রান খরচ করেন মুস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া ১টি করে উইকেট দখল করেন নুয়ান তুষারা, আকিলা ধনঞ্জয়া ও চামিন্দু বিক্রমাসিংহে। ম্যাচের সেরা হন শানাকা।