এমনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী সদস্য মার্নাস লাবুশানকে সকলে ব্যাটার হিসেবেই জানে। সদা হাস্য এই ক্রিকেটার ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের মুখের গ্রাস ছিনিয়ে নিয়েছিল স্বদেশি ট্রাভিস হেডকে সঙ্গী করে। টেস্ট ক্রিকেটে মার্নাসের জুড়ি মেলা ভার, এতটাই দক্ষ তিনি। ব্যাট হাতে বিভিন্ন সময় বিশেষজ্ঞদের প্রশংসা কুড়িয়ে নেওয়া অজি তারকা এবার নজর কাড়লেন বল হাতেও। ইংল্যান্ডের ভাইটালিটি ব্লাস্ট টি২০ প্রতিযোগিতায় কদিন আগেই শরীর ছুঁড়ে দিয়ে অবিশ্বাস্য ক্যাচ নিয়েছিলেন। এবার বল হাতেও সকলের নজর কাড়লেন ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। নিজের ক্লাব দলের হয়ে একাই নিলেন পাঁচ উইকেট। এবার থেকে তাঁকে আর কেউ স্রেফ ব্যাটার বলে সম্বোধন করতে পারবেন না, বরং বলতে হতে অলরাউন্ডার।
আরও পড়ুন-‘২৪ রান দেওয়ার পর ভেবেছিলাম সব শেষ’! রোহিতের পেপ টকেই বদলে যায় চিত্র…ফাঁস অক্ষরের
কখনও সিম বোলিং করে থাকেন আবার কখনও স্পিন। উইকেট বুঝেই নিজের বোলিং সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেন লাবুশান। টি২০ ভাইটালিটি ব্লাস্টের ম্যাচে গ্ল্যামরগানের জার্সিতে বল হাতে নজর কাড়লেন এই ক্রিকেটার। ইতিমধ্যেই তাঁর করা একটি বোলিং ডেলিভারি দেখে প্রয়াত অজি কিংবদন্তী শেন ওয়ার্নের ছায়া দেখেছেন অনেকে। তাঁর একটি বল যেভাবে স্পিন হয়েছিল, যা সকলকে মনে করিয়ে দেয় প্রয়াত শেন ওয়ার্নের ডেলিভারিকে। এরই মধ্যে লাবুশানের দুরন্ত বোলিংয়ের সৌজন্য সোমারসেটকে হারাল তাঁর দল গ্ল্যামরগান। ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্লাবগুলোকে নিয়ে এই টি২০ ভাইটালিটি ব্লাস্ট প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে নিজের কেরিয়ারের প্রথম ফাইফার অর্থাৎ এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির গড়ে ফেললেন মার্নাস লাবুশান।
আরও পড়ুন-বিরাট-ধোনির সঙ্গে আমার জনপ্রিয়তার তুলনা হয় না! আক্ষেপের সুরেই স্বীকারোক্তি নীরজের…
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লাবুশানের দল ২০ ওভারে করে ২৪৩ রান, ৪ উইকেটের বিনিময়। এক্ষেত্রে মার্নাস লাবুশানকে মাঠে নামার প্রয়োজনই পড়েনি। এরপর বল করতে এসে তাঁর ঘূর্ণিতে মাত্র ১২৩ রানেই অলআউট হয়ে যায় সোমারসেট দল। ২ ওভার ৩ বল হাত ঘুরিয়ে সকলকে চমকে দিয়েই মাত্র ১১ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নেন লাবুশান। এর মধ্যে একটি ওভার মেডেনও করেন। মাত্র ৪.৪০ রানের ইকোনমিতে এমন বোলিং করেন লাবুশান, যা দেখে অবাক হয়ে যান দর্শকরাও। কারণ নিজের দলের বোলিং অর্ডারে সবার শেষেই তাঁকে বোলিংয়ের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, সেখানে এসেই বাজিমাত করেন তিনি। এটাই তাঁর কেরিয়ারের প্রথম ফাইভ উইকেট হল। তাঁর দল ম্যাচ জিতে যায় ১২০ রানের ব্যবধানে।
আরও পড়ুন-ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার পর চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের সঙ্গে কি কথা হয় গৌতম গম্ভীরের?