ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে চলতি ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি কার্ডিফে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৩ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল ইংল্যান্ড। বর্তমানে সিরিজ এখন ১-১। এদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে আরও একবার ঝোড়ো সূচনা এনে দেন ট্র্যাভিস হেড। যেখানে কেরিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেন জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ঐতিহাসিক রেকর্ড গড়েছেন ম্যাথিউ শর্ট। কিন্তু এর কোনও কিছুই অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে কাজ করেনি। লিয়াম লিভিংস্টন এবং জ্যাকব বেথেলের ১৮টি বাউন্ডারি এই সমস্ত কিছুকে ছাপিয়ে যায় এবং ইংল্যান্ড সহজেই ম্যাচটি জিতে নেয়।
আরও পড়ুন.. আমি সচিনের সঙ্গেও খেলেছি, পরে তাঁর ছেলের সঙ্গেও খেলেছি: অবসর নিয়ে পীযূষ চাওলার জবাব
লিভিংস্টন এবং বেথেল ঝড়
প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া স্কোর বোর্ডে তোলে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৩ রান। ইংল্যান্ডের সামনে ১৯৪ রানের লক্ষ্য রেখেছিল ট্র্যাভিস হেডের দল। এ সময় দলের অধিনায়ক ট্র্যাভিস হেড মাত্র ১৪ বলে ৩১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। দীর্ঘ সময় ফ্লপ থাকা জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক ৩১ বলে ৫০ রান করেন। যেখানে জোশ ইংলিস ২৬ বলে ৪২ রানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। কিন্তু লিয়াম লিভিংস্টন ও জ্যাকব বেথেলের ঝড়ের সামনে তাদের সব ইনিংসই বৃথা হয়ে যায়। রান তাড়া করার সময় লিভিংস্টন ১৮৫ স্ট্রাইক রেটে ৪৭ বলে ৮৭ রান করেন। এই ইনিংসে তিনি মারেন ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকান।
আরও পড়ুন.. AFG vs NZ Test: একটা বলও খেলা হল না! জেনে নিন এর আগে কতগুলো টেস্ট এভাবে পরিত্যক্ত করা হয়েছে
লিভিংস্টন ছাড়াও, জ্যাকব বেথেল, তার একমাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ খেলেন। তিনি আবার ১৮৩ স্ট্রাইক রেটে ২৪ বলে ৪৪ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। এদিন তিনি নিজের ইনিংসে মারেন ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা। এভাবে দুই ব্যাটসম্যান মিলে ১৮টি বাউন্ডারি হাঁকান এবং এর সাহায্যে তারা ৮৮ রান করে ম্যাচকে একতরফা করে দেন। যে কারণে মাত্র ১ ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুন.. AFG vs NZ Test ম্যাচ বাতিল হওয়ায় হতাশ আফগান কোচ, শ্রীলঙ্কা টেস্টের আগে বিরক্ত কিউয়ি কোচ
এই রেকর্ড গড়েও হেরে গেল অস্ট্রেলিয়া
কার্ডিফে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলা এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ঐতিহাসিক রেকর্ড গড়েন ম্যাথিউ শর্ট। তিনি আইসিসির পূর্ণ সদস্য জাতীয় দলের প্রথম ওপেনার হয়েছিলেন যিনি তার দেশের হয়ে একটি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৫ উইকেট নেন। অস্ট্রেলিয়ার জন্য শর্ট ওপেন। এই ম্যাচে ২৪ বলে ২৮ রান করেন তিনি। এছাড়াও তিনি তিন ওভারে ২২ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন। তবে, বাকি বোলাররা তাকে সমর্থন করতে পারেননি, যে কারণে এই দুর্দান্ত স্পেলও অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে কাজে করেনি।