১ কোটি টাকা বেস প্রাইসের মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে এবছর আইপিএল নিলাম থেকে দলে নেয়নি কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি। বছর শেষের আগেই বিজয় হাজারে ট্রফিতে সেঞ্চুরির হ্য়াটট্রিক করে মায়াঙ্ক বুঝিয়ে দিলেন, এখনও ফুরিয়ে যাননি তিনি।
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে বিজয় হাজারে ট্রফির প্রথম ম্যাচে অল্পের জন্য ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় মায়াঙ্ক আগরওয়ালের। তিনি ৪৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। পুদুচেরির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ১৮ রান করে মাঠ ছড়েন মায়াঙ্ক।
পঞ্জাবের বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচে মায়াঙ্ক আগরওয়াল ১২৭ বলে ১৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। অরুণাচলপ্রদেশের বিরুদ্ধে চতুর্থ ম্যাচে মাত্র ৪৫ বলে অপরাজিত ১০০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন মায়াঙ্ক। এবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে পঞ্চম ম্যাচে ফের সেঞ্চুরি করেন তিনি।
দাপুটে শতরান মায়াঙ্ক আগরওয়ালের
আমদাবাদে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে বিজয় হাজারে ট্রফির সি-গ্রুপের ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে কর্ণাটক। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ৩২০ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। ওপেন করতে নেমে মায়াঙ্ক আগরওয়াল ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৯ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান ৯৫ বলে। সাহায্য নেন ১২টি চার ও ১টি ছক্কার। শেষমেশ ১৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১১২ বলে ১২৪ রান করে আউট হন আগরওয়াল।
লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন আর স্মরণ। তিনি ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৭৫ বলে ৮৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। নিকিন জোস ৪৩ বলে ৩৭ রান করেন। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮ বলে ১১ রান করে রান-আউট হন কেভি অনীশ। প্রবীণ দুবে ২০ বলে ২৪ রান করেন। তিনি ৩টি চার মারেন। ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৯ বলে ১৯ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন শ্রেয়স গোপাল।
হায়দরাবাদের হয়ে চামা মিলিন্দ ১০ ওভারে ৬৬ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন। ১০ ওভারে ৪০ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন অনিকেত রেড্ডি। ৭ ওভারে ৪৬ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন রোহিত রায়াড়ু। মহম্মদ মুদাসির ১০ ওভারে ৬০ রান খরচ করে ১টি উইকেট সংগ্রহ করেন। ক্যাপ্টেন তিলক বর্মা ২ ওভারে ২২ রান খরচ করেন। যদিও কোনও উইকেট পাননি তিনি।