গৌতম গম্ভীরের আবিষ্কার। আর সেই আবিষ্কারই শনিবার লখনউ সুপার জায়ান্টসের জার্সি পরে গতির ঝড় তুলে দিলেন। আইপিএল অভিষেকে যে ২৪টি বল করলেন মায়াঙ্ক যাদব, তার মধ্যে ১৮টিরই গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটারের বেশি। আটটি বলের গতি ১৫০ কিমি ছুঁয়ে ফেলেছে। যে তালিকায় আছে ২০২৪ সালের আইপিএলের দ্রুততম বলটিও। ঘণ্টায় ১৫৫.৮ কিমি বেগে সেই বলটা করেন। সবমিলিয়ে আইপিএলের অভিষেক ম্যাচে চার ওভারে ২৭ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন ২১ বছরের তরুণ মায়াঙ্ক। আর তারপর কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) মেন্টর গম্ভীরের জহুরি চোখের বাহবা দিচ্ছেন সকলেই। এমনকী মায়াঙ্কের বলের গতি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন স্বয়ং ব্রেট লি। তিনি বলেন, ‘ভারত নিজের দ্রুততম বোলারকে পেয়ে গেল। মায়াঙ্ক যাদব! হাতে ব্যাপক গতি। দুর্দান্ত লাগল।’ যে মায়াঙ্ক ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন।
দিল্লির ঘরোয়া সার্কিট থেকে আইপিএলের মঞ্চে উত্থান
ঘরোয়া সার্কিটে দিল্লির ছেলে গম্ভীরের নজরে পড়ে গিয়েছিলেন মায়াঙ্ক। গম্ভীর যখন লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর ছিলেন, তখন তাঁকে ২০ লাখ টাকায় নিয়েছিলেন কেএল রাহুলরা। কিন্তু চোটের জন্য ২০২৩ সালের আইপিএলে খেলতে পারেননি। তাঁর পরিবর্তে লখনউয়ের দলে ঢুকেছিলেন হিমাচল প্রদেশের অর্পিত গুলেরিয়া। তবে গম্ভীরের আবিষ্কার মায়াঙ্কের উপর আস্থা রাখে লখনউ।
অন্যদিকে, সেই চোট কাটিয়ে ওঠার পরই মায়াঙ্কের উত্থানের পথটা ‘ফাস্টট্র্যাক’ করা হয়। দেওধর ট্রফির জন্য তাঁকে উত্তরাঞ্চলের দলে নির্বাচিত হয়েছিলেন। যে টুর্নামেন্টে দুরন্ত গতির বলে রাহুল ত্রিপাঠীর মিডল স্টাম্প ছিটকে দিয়েছিলেন। তারইমধ্যে ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারের গণ্ডি পার করে ফেলেছিলেন। আইপিএলের আগে ডিওয়াই পাটিল টুর্নামেন্টেও খেলেছিলেন মায়াঙ্ক।
মায়াঙ্কের প্রতিটি বলের গতিবেগ (ঘণ্টা/কিলোমিটার)
১) ১৪৭ কিলোমিটার।
২) ১৪৬ কিলোমিটার।
৩) ১৫০ কিলোমিটার।
৪) ১৪১ কিলোমিটার।
৫) ১৪৭ কিলোমিটার।
৬) ১৪৯ কিলোমিটার।
৭) ১৫৬ কিলোমিটার।
৮) ১৫০ কিলোমিটার।
৯) ১৪২ কিলোমিটার।
১০) ১৪৪ কিলোমিটার।
১১) ১৫৩ কিলোমিটার।
১২) ১৪৯ কিলোমিটার।
১৩) ১৫২ কিলোমিটার।
১৪) ১৪৯ কিলোমিটার।
১৫) ১৪৭ কিলোমিটার।
১৬) ১৪৫ কিলোমিটার।
১৭) ১৪০ কিলোমিটার।
১৮) ১৪২ কিলোমিটার।
১৯) ১৫৩ কিলোমিটার।
২০) ১৫৪ কিলোমিটার।
২১) ১৪৯ কিলোমিটার।
২২) ১৪২ কিলোমিটার।
২৩) ১৫২ কিলোমিটার।
২৪) ১৪৮ কিলোমিটার।