ঘরে-বাইরে যেখানেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলুক না কেন, বরাবর বাংলাদেশের প্রধান ভরসা শাকিব আল হাসান। সঙ্গত কারণেই শাকিবকে ছাড়া ভারত সফরের টেস্ট দল নির্বাচন করা সম্ভব ছিল না বাংলাদেশের পক্ষে। তবে বাংলাদেশ কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে আগেভাগেই জানিয়ে দিলেন যে, শাকিবের বিকল্প অল-রাউন্ডার তৈরি রয়েছে তাঁদের। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কোচ টেস্ট সিরিজের আগে ভারতকে মানসিকভাবে চাপে ফেলার চেষ্টা করেন বলা যায়।
শাকিব আল হাসান সারা বিশ্বজুড়ে ফ্র্য়াঞ্চাইজি টি-২০ লিগ খেলে বেড়ান। তাই ঘরোয়া লাল বলের ক্রিকেটে মাঠে নামার তেমন সুযোগ পান না তিনি। যদিও দেশের জার্সিতে টেস্টে মাঠে নামতে অসুবিধা থাকে না তাঁর। গত পাকিস্তান সিরিজে ব্যাট হাতে বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারেননি শাকিব। ৩টি ইনিংসে মাঠে নেমে সংগ্রহ করেন যথাক্রমে ১৫, ২ ও অপরাজিত ২১ রান।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শাকিব বল হাতে সংগ্রহ করেন সাকুল্যে ৫টি উইকেট। প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ১টি ও ৩টি উইকেট নেন শাকিব। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১টি উইকেট নিলেও দ্বিতীয় ইনিংসে কোনও উইকেট পাননি তিনি।
অর্থাৎ, পাকিস্তান সিরিজে ব্যাটে-বলে শাকিবের পারফর্ম্যান্স ছিল গড়পড়তা। তবে পরে সারের হয়ে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ১টি ম্যাচে মাঠে নেমে দুই ইনিংস মিলিয়ে মোটে ৯টি উইকেট নেন শাকিব। স্বাভাবিকভাবেই ভারত সফরে আসার আগে তারকা অল-রাউন্ডারের কাউন্টি ম্যাচের ফর্ম বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে বাংলাদেশকে।
অন্যদিকে মেহেদি হাসান মিরাজ পাকিস্তান সফরের ২টি টেস্টে ১০টি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি সংগ্রহ করেন ১৫৫ রান। এমন চমকপ্রদ পারফর্ম্যান্সের সুবাদেই মেহেদি সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন।
বাংলাদেশ কোচ এক্ষেত্রে মেহেদিকেই শাকিব আল হাসানের যথাযথ বিকল্প বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘শাকিব যখনই সরে যাক না কেন, ওর জায়গা নিতে তৈরি মেহেদি। অবশ্যই বোলিংই মেহেদির প্রধান শক্তি। তবে ও নিজের ব্যাটিংয়ে বিস্তর উন্নতি করেছে। তাছাড়া ও দুরন্ত ফিল্ডারও।’
চন্দিকা পরে শাকিবের প্রসঙ্গে বলেন, ‘ও (শাকিব) ভালো ছন্দে রয়েছে। সুতরাং, ওর উপস্থিতি দলের জন্য ইতিবাচক দিক। যখনই মাঠে নেমেছে, শাকিব বাংলাদেশ ক্রিকেটে বড় ভূমিকা নিয়েছে। তাছাড়া ওর উপস্থিতি আমাদের কম্বিনেশন নিয়ে সাহসী হওয়ার সুযোগ করে দেয়। আমরা বাড়তি ব্যাটার নাকি বাড়তি বোলার খেলাব, সেটা স্থির করতে বিশেষ অসুবিধা হয় না শাকিবের মতো অল-রাউন্ডার দলে থাকলে।’