কানপুরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের দাপট দেখে হতবাক হয়ে গেলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। প্রথম দিন থেকেই খেলার ভিলেন বৃষ্টি। চতুর্থ দিন ম্যাচ শুরু হলে বাংলাদেশের বোলারদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যান। দেখে মনে হচ্ছিল টেস্ট ম্যাচ নয়, টি-২০ খেলা চলছে গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে। এদিন ভারত টেস্ট ক্রিকেটে দ্রুততম ৫০, ১০০, ১৫০, ২০০ এবং ২৫০ রান করে রেকর্ড গড়ে। যশস্বী জসওয়াল এবং কেএল রাহুল অর্ধশতরান করেন। বাংলাদেশের ২৩৩ রানের জবাবে ৯ উইকেটে ২৮৫ রান করে ডিক্লেয়ার ঘোষণা করেন রোহিত। চতুর্থ দিনের শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেট হারিয়ে ২৬ রান। মঙ্গলবার খেলার শেষ দিনে যে আরও চমক থাকবে এই টেস্ট ম্যাচে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ বলেন, ‘ভারত সত্যিই পরিকল্পনার দিক থেকে এগিয়ে, আমি অবাক হয়েছিলাম। তারপর ২-৩ ওভার পর বুঝলাম তারা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলা চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের শক্তি অনুযায়ী খেলতে থাকি এবং চেষ্টা করতে থাকি উইকেট নেওয়ার। টেস্ট ক্রিকেটে আপনি নানা রকম পরিস্থিতি দেখতে পান। কিন্তু আজকেরটা টি-২০ ক্রিকেটের মতো ছিল। তাদের জেতার পরিকল্পনা রয়েছে এটা স্পষ্ট। দিনের শেষে, সবাই রান করার জন্যই খেলে’। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কীভাবে রান আটকানো যায় তা নিয়ে ভাবছিলাম। অবশ্যই ভারতের ব্যাটসম্যানদের কৃতিত্ব দিতে হবে। বর্তমানে তারা এক নম্বর দল। তাদের অনেক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে’।
যদিও মেহেদি এখনও বাংলাদেশকে এই টেস্ট থেকে বাইরে মানতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে কিছুই অসম্ভব নয়, সবই সম্ভব। আমরা এখনও পরাজিত হইনি। আমরা এর আগে এরকম পরিস্থিতি থেকে অনেক ম্যাচ জিতেছি। এখনও আমাদের কাছে ম্যাচ জয়ের সুযোগ আছে। উইকেট খুবই ভালো, একটু চ্যালেঞ্জিং। তবে আমার বিশ্বাস আমরা যদি বড় রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে পারি এবং ভালো ব্যাট করতে পারি তাহলে ম্যাচ জয় করতে পারব। মেহাদি আরও বলেন, ‘প্রথম ইনিংস সবসময় টেস্ট ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে মোমিনুল ভাই যেইভাবে ব্যাট করেছে তা অসাধারণ। কিন্তু আমরা তাঁকে সাহায্য করতে পারিনি। যদি তাঁকে সমর্থন দেওয়া যেত তাহলে হয়তো ম্যাচের পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারত’। উল্লেখ্য, প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে মাোমিনুল হক ১৯৪ বলে ১০৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন।