কিংস্টোনের লড়াকু জয়ে টেস্ট সিরিজে সমতা ফেরাতে সক্ষম হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে পরবর্তী ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হেরে বসল বাংলাদেশ। সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে বড় রানের ইনিংস গড়েও হারের মুখ দেখতে হয় মেহেদি হাসান মিরাজদের। ক্যারিবিয়ানদের জয় এনে দেয় শেরফান রাদারফোর্ডের বিধ্বংসী শতরান।
ব্যাটিং সহায়ক পিচে টস জিতে স্কোরবোর্ডে বড় রান তোলাই শ্রেয় মনে করেন বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন মেহেদি। ক্যাপ্টেন নিজে ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন দলকে এবং তিনশোর দোরগোড়ায় পৌঁছে লড়াই করার রসদ জোগাড় করে নেয় বাংলাদেশ। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২৯৪ রান তোলে।
দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৭৪ রান করেন অধিনায়ক মেহেদি। যদিও তিনি খরচ করেন ১০১টি বল। মারেন ৬টি চার ও ১টি ছক্কা। এছাড়া হাফ-সেঞ্চুরি করেন তানজিদ হাসান ও মাহমুদুল্লাহ। নিশ্চিত অর্ধশতরান মাঠে ফেলে আসেন জাকের আলি।
তানজিদ ৬০ বলে ৬০ রান করে মাঠ ছাড়েন। তিনি ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ৪৪ বলে ৫০ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মাহমুদুল্লাহ। তিনি ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ৪০ বলে ৪৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন জাকের। তিনিও ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া ১৮ বলে ১৯ রান করেন সৌম্য সরকার। মারেন ৩টি চার। ৭ বলে ২ রান করে আউট হন লিটন দাস। ২৯ বলে ২৮ রান করেন আফিফ হোসেন। তিনি ৪টি বাউন্ডারি মারেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৫১ রানে ৩ উইকেট নেন রোমারিও শেফার্ড। ৬৭ রানে ২টি উইকেট নেন আলজারি জোসেফ। ১টি উইকেট সংগ্রহ করেন জয়ডেন সিলস।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৭.৪ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২৯৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ১৪ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ লিড নেয় ক্যারিবিয়ান দল। শেরফান রাদারফোর্ড ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান মাত্র ৭৭ বলে। সাহায্য নেন ৭টি চার ও ৬টি ছক্কার। শেষমেশ ৭টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে ৮০ বলে ১১৩ রান করে আউট হন রাদারফোর্ড।
আরও পড়ুন:- এবারের যুব এশিয়া কাপে সব থেকে বেশি রান করেছেন কারা? সেরা পাঁচে রয়েছেন এক ভারতীয়
ক্যাপ্টেন শাই হোপ করেন ৮৮ বলে ৮৬ রান। তিনি ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩১ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন জাস্টিন গ্রেভস। বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন তানজিম হাসান শাকিব, নাহিদ রানা, রিশাদ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ ও সৌম্য সরকার। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা হন রাদারফোর্ড।