ভারতের কাছে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ। দু’টি টেস্টের একটিতেও লড়াই দিতে পারল না শাকিবরা। প্রথম টেস্ট ম্যাচে ভারতের কাছে ২৮০ রানে পরাজিত হয় বাংলাদেশ। কানপুরে দ্বিতীয় টেস্টের বেশিরভাগ দিনই বৃষ্টির জন্য খেলায় বিঘ্ন ঘটে। একটা সময় মনে হচ্ছিল খেলা সম্ভব হবে না। কিন্তু চতুর্থ দিনে খেলা শুরু হলে ২ দিনেই ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ পকেটে পুড়ে নেয় রোহিতরা। এরপরই নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয় বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর একটি পুরোনো ভিডিয়ো। যেখানে তাঁকে ভারতকে ২-০ ব্যবধানে হারানোর হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যাচ্ছে। এরপরই সেই ভিডিয়ো নিয়ে শুরু হয়ে যায় মিমের বন্যা।
বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে হারিয়ে ভারতে খেলতে এসেছিল। সেই সময় চেন্নাইয়ের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলতে আসার আগে এয়ারপোর্টে প্রতিক্রিয়াটি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।ভিডিয়োতে শান্তকে বলতে দেখা যায়, ‘আমরা ২টি ম্যাচই জেতার জন্য খেলব।জেতাই বড় বিষয়, আমারদের লক্ষ্য একটাই- সঠিকভাবে নিজেদের কাজ করে যাওয়া। আমরা যদি আমাদের কাজটা সঠিকভাবে করতে পারি তাহলে ভালো ফলাফল নিশ্চই পাব’। তবে মুখে যতই বলুক বাস্তবে যে তাঁরা ‘কাজ’ সঠিকভাবে করতে পারেননি তা খেলাতেই স্পষ্ট। একমাত্র বাংলাদেশের হয়ে সিরিজে নজর কাড়েন পেসার হাসান মাহমুদ এবং ব্যাটসম্যান মোমিনুল হক।এছাড়া তাঁদের কোনও ক্রিকেটারই ভারতের বিরুদ্ধে সেইভাবে দাগ কাটতে পারেননি।
অন্যদিকে বাংলাদেশকে হারিয়ে ঘরের মাঠে টানা ১৮ টি টেস্ট জয়ের রেকর্ড গড়ল ভারত। শুধু তাই নয় দ্বিতীয় টেস্টে আরও একাধিক নতুন রেকর্ড তৈরি হয়।টেস্ট ক্রিকেটে দ্রুত ৫০, ১০০, ১৫০, ২০০, ২৫০ করার রেকর্ড গড়েন রোহিতরা। এই টেস্টেই নিজের ২৭ হাজার রান সম্পন্ন করেন বিরাট কোহলি। নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩০০ তম উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা। প্রথম দিন ৩৫ ওভার খেলার পর যখন বৃষ্টির জন্য ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায় তখন সমর্থকরা ভেবেছিল হয়তো আর খেলা হওয়া সম্ভব হবে না।হলেও ম্যাচ অমীমাংসিত থাকবে।কিন্তু রোহিতদের পরিকল্পনা অন্য ছিল। ভারত দ্বিতীয় টেস্ট কার্যত টি-২০ মেজাজে খেলে জয় করে নেয়। বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন ব্যাটসম্যানরা।যোগ্য সঙ্গ দেন ভারতের বোলাররা।দুরন্ত বোলিং করে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের কোমর ভেঙে দেন বুমরাহ-জাদেজারা।