চলতি আইপিএলে বল হাতে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স উপহার দিচ্ছেন মুস্তাফিজুর রহমান। সিএসকের হয়ে প্রতি ম্যাচেই তিনি ধারাবাহিকভাবে উইকেট তুলছেন। আইপিএল ২০২৪-এর বেগুনি টুপির দৌড়ে বাংলাদেশের তারকা পেসার রয়েছেন একেবারে প্রথম সারিতে। রবিবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধেও উইকেটহীন থাকেননি মুস্তাফিজ। তবে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে তাঁর বোলিংয়ের থেকেও বেশি চর্চায় মুস্তাফিজের ফিল্ডিং।
রবিবার মাথিসা পথিরানার বলে সূর্যকুমার যাদবের যে ক্যাচটি ধরেন মুস্তাফিজুর রহমান, তাকে এককথায় অসাধারণ বলতেই হয়। চেন্নাইয়ের ডাগ-আউটও বিশ্বাস করতে পারেনি মুস্তাফিজ বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করার সময়ে এমন দক্ষতা দেখাবেন বলে। টেলিভিশন রিপ্লে দেখে তৃতীয় আম্পায়ার সূর্যকুমারকে আউট ঘোষণা করার পরে চেন্নাই কোচ ফ্লেমিং যেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন, তাতেই বোঝা যাচ্ছিল যে, বাংলাদেশের কোনও ক্রিকেটারের কাছ থেকে এমন ক্যাচ আশা করেননি তিনিও।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৭.১ ওভারে মাথিসা পথিরানার বলে ইশান কিষান আউট হওয়ার পরে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ব্যাট করতে নামেন সূর্যকুমার যাদব। যদিও তাঁর ইনিংসে স্থায়ী হয় মোটে ২টি বল। পথিরানার সেই ওভারেই আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সূর্যকুমারকে, যিনি গত ম্যাচে দুর্দান্ত হাফ-সেঞ্চুরি করে ম্যাচ জেতান মুম্বইকে।
আরও পড়ুন:- CSK Beat MI: ব্যর্থ হল রোহিতের ধ্বংসাত্মক শতরান, ধোনির তিন ছক্কাই ম্যাচ জেতাল চেন্নাইকে
৭.৩ ওভারে পথিরানার বলে ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা করেন সূর্যকুমার যাদব। ডিপ থার্ডম্যান বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। বল তাঁর হাতে পৌঁছয়। যদিও শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশি তারকার পক্ষে। মুস্তাফিজুর মুন্সিয়ানার সঙ্গে বল হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়ে বাউন্ডারি লাইনের বাইরে চলে যান। পরে পুনরায় বাউন্ডারির ভিতরে ঢুকে তিনি ফের লুফে নেন বল। ফলে আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সূর্যকুমারকে। ২ বল খেলে খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন সূর্য।
আরও পড়ুন:- MS Dhoni's Milestone: রায়নার পরে CSK-র দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে ৫০০০-এর শিখরে ধোনি
সন্দেহ নেই সূর্যকুমারের শূন্য রানে আউট হওয়া চেন্নাইকে ম্যাচ জিততে বড়সড় সাহায্য করে। কেননা একপ্রান্ত দিয়ে রোহিত শর্মা যে রকম তাণ্ডব চালান, তাতে অপর প্রান্ত দিয়ে তাঁকে সূর্য যথাযথ সঙ্গত করলে ম্যাচ চেন্নাইয়ের হাতের মুঠো থেকে বেরিয়ে যেতে পারত।
মুস্তাফিজুর এদিন ৪ ওভার বল করে ৫৫ রান খরচ করেন। তবে তিনি তুলে নেন টিম ডেভিডের মূল্যরান উইকেটটি। টুর্নামেন্টের ৫ ম্যাচে বল করে মুস্তাফিজ সাকুল্যে ১০টি উইকেট সংগ্রহ করেন। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীদের তালিকায় তিনি রয়েছেন যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থানে।