আরব সাগরের তীরে ওয়াংখেড়েতে ‘বোল্ট আগুনে’ ঝলসে যাচ্ছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সমুদ্র পারের হাওয়ায় আগুন যেন আরও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথম ওভারেই মুম্বই ২ উইকেট হারিয়ে বসে থাকে। সৌজন্যে নিঃসন্দেহে বোল্ট। তার পর আবার তৃতীয় ওভারেও বোল্ট-ভীতি কার্যকর।
প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে স্ট্রাইকে এসেছিলেন রোহিত। বোল্টের বলে খোঁচা মেরে সঞ্জু স্যামসনকে ক্যাচ দেন হিটম্যান। গোল্ডেন ডাক করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। রোহিতের বদলে ব্যাট করতে আসেন নমন ধীর। তাঁকেও প্রথম বলেই ফেরান বোল্ট। গোল্ডেন ডাক করে এলবিডব্লিউ হন নমন। প্রথম ওভারে মাত্র ১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে মুম্বই রীতিমতো চাপে পড়ে যায়।
দ্বিতীয় ওভারে নান্দ্রে বার্গার বল করতে এলে তাঁকে একটি চার এবং ছক্কা হাঁকান ইশান কিষান। মোট ১২ রান আসে এই ওভারে। কিন্তু তৃতীয় ওভারে বল করতে ফের বল করতে আসেন বোল্ট। ফিরে আসে সেই ‘বোল্ট আতঙ্ক’। এই ওভারের প্রথম বলে ইশান ১ রান নিলেও, দ্বিতীয় বলেই ফের উইকেট হারায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। চারে ব্যাট করতে নামা ডিওয়াল্ড ব্রেভিসকে গোল্ডেন ডাকেই ফেরান বোল্ট। নান্দ্রে বার্গারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ব্রেভিস।
মুম্বই এদিন যে প্রথম তিন উইকেট হারিয়েছে, সেই তিন ব্যাটারই গোল্ডেন ডাক করে সাজঘরে ফিরেছেন। তাও একই বোলারের বলে। এই সুবাদে বোল্ট বেশ কিছু নজিরও গড়ে ফেলেছেন। ২০২০ আইপিএল মরশুম থেকে ট্রেন্ড বোল্ট এখনও পর্যন্ত ইনিংসের প্রথম ওভারে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়ে ফেলেছেন। শেষ পাঁচ বছরে বোল্ট ইনিংসের প্রথম ওভারে ২৪টি উইকেট নিয়েছেন। এই রেকর্ডের ধারেকাছে কেউ নেই। এর পর মহম্মদ শামি এবং ভুবনেশ্বর কুমার রয়েছে, যাঁরা ইনিংসের প্রথম ওভারে ৮টি করে উইকেট নিয়েছেন। অর্থাৎ বোল্টের চেয়ে তাঁরা অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: এই ইনিংসটি তোমার সঙ্গে সারা জীবন থাকবে- পন্তের ব্যাটিংয়ে উচ্ছ্বসিত বাংলার মহারাজ
এখানেই শেষ নয়, আইপিএলের ইতিহাসে ম্যাচের ওপেনিং ওভারেও সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার নজির যুগ্মভাবে জায়গা করে নিয়েছেন বোল্ট। ভুবনেশ্বর কুমারের সঙ্গে তিনি যুগ্ম ভাবে এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। আইপিএলের ইতিহাসে ম্যাচের ওপেনিং ওভারে ২৫টি করে উইকেট রয়েছে দুই পেসারের। তবে বোল্ট মাত্র ৮০ ইনিংস বল করেই এই নজির গড়ে ফেলেছেন। সেখানে ভুবি এই কৃতিত্ব গড়তে ১১৬ ইনিংস নিয়েছেন। অর্থাৎ বোল্ট আইপিএলের ইতিহাসে ম্যাচের ওপেনিং ওভারে দ্রুততম সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার নজির গড়েছেন।
প্রসঙ্গত, বোল্টের হাত ধরেই শেষ হয়নি রাজস্থান রয়্যালসের বিস্ফোরণ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে নান্দ্রে বার্গার এসে সাজঘরে ফেরান ইশান কিষাণকেও। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মারেন ইশান। তার পরের বলেই সঞ্জুর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১৪ বলে ১৬ রান করেন ইশান। আর পাওয়াপ প্লে-র প্রথম চার ওভারে মাত্র ২০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে মারাত্মক চাপে পড়ে যায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।