অ্যাডিলেডে তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনের মধ্যেই ভারতীয় দল পরাজয় স্বীকার করে নেয়অ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। পিঙ্ক বল টেস্টে অস্ট্রেলিয়া হয়ে উঠেছে ২০০০ এর দশকের ব্যাগি গ্রিন্সদের মতো। যতই চেষ্টা করুক না কেন, কোনও দলই অজিদের জারিজুরি আটকাতে পারে না। পিঙ্ক বল টেস্টেও তেমন, ১৩টার মধ্যে ১২টাই জিতেছে কামিনস, স্টার্করা। অ্যাডিলেডে ভারতকেও কার্যত পর্যুদস্ত করেই হারাল অজিরা।
আরও পড়ুন -BPL-এ খেলতে এসে টাকা মেরে দিয়েছে রংপুর রাইডার্স! ভরা মাঠে অভিযোগ ইমরান তাহিরের…
দ্বিতীয় টেস্টে ৮৪ রান নীতীশ রেড্ডির-
নীতীশ রেড্ডির লড়াকু ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে ইনিংসে হার এড়িয়ে যায় ভারত। কারণ পন্ত তেমন কিছু করে দেখাতে পারলেন না দ্বিতীয় ইনিংসে। নীতীশ অন্তত ৪২ রান করে দলের সম্মান বাঁচালেন। আনকোরা নবাগত এই তরুণ ব্যাটারই গত চার ইনিংসে ভারতীয় দলের ব্যাটারদের মধ্যে সব থেকে ধারাবাহিক। দলের খারাপ সময় উঠে দাঁড়াচ্ছেন। প্রথম টেস্টেও প্রথম ইনিংসে যেমন লড়েছিলেন, তেমন দ্বিতীয় টেস্টেও জোড়া ইনিংসে করলেন ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৪ রান।
আরও পড়ুন-Video -উল্টো হাতে স্কট বোল্যান্ডকে ছয়! নীতীশের রিভার্সে সুইপে তাক লাগল অ্যাডিলেডে…
প্রশংসা পেলেন হেড, প্রাপ্য তো নীতীশেরও?
অবশ্য অনেক নিন্দুকই রয়েছেন, যারা ভারতীয় দলের হারে শুধু আনন্দই পান। ভারতীয় ক্রিকেটারদের ভালো দিকগুলো নজরে আনতে পারেননা। এই যেমন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার মাইকেন ভন। সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রেলিয়ানদের বিরুদ্ধে লজ্জাজনক রেকর্ড তাঁর দেশের। অথচ ভারত অস্ট্রেলিয়ার কাছে একটা টেস্টে হারতেই এমন পোস্ট করলেন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে, যেন তিনি ইংরেজ নন, অজি বংশদ্ভূত। নীতীশের দুই ইনিংসের লড়াই নিয়ে কি তিনি পোস্ট করেছেন?
হেডের প্রশংসায় পোস্ট ভনের-
ট্র্যাভিস হেডের প্রশংসা করেই মূলত তাঁর এই পোস্ট। কিন্তু সেই পোস্টটা তিনি করতে পারতেন তাঁর শতরানের পর। সেটা না করে, রবিবার ভারতীয় দলের হারের পরই পোস্ট করলেন তিনি। সেই পোস্টে দেওয়া ছবিতে দেখা গেল, মাঠে প্রচুর পরিমাণে ক্রিকেটভক্ত দাঁড়িয়ে রয়েছে ঘিরে। সেই ছবি দিয়ে ভন লিখলেন, ‘ট্র্যাভিস হেডের জন্য এমনই মাঠ দরকার ’। মানে তিনি বোঝাতে চাইলেন, এত মানুষ যদি ফিল্ডিং কাটেন তাহলেই হেডকে আটকানো সম্ভব।
আরও পড়ুন-অ্যাডিলেডে রেকর্ড! ভারতের অসি যুদ্ধ দেখতে মাঠে হাজির ৫০ হাজারের বেশি সমর্থক...
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১১২ বলে শতরান ছিল হেডের-
ভন অবশ্য ভুলে গেলেন, এই তো শনিবারের আগে পর্যন্ত পিঙ্ক বল টেস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোবার্টে করা হেডের শতরানটাই এই ফরম্যাটে দিন রাতের টেস্টে দ্রুততম ছিল। সেই টেস্টে কিন্তু ভারতীয় দলের কেউ খেলেনি, ইংরেজদের তারকা সব বোলাররাই খেলেছিলেন। যাই হোক ভারতীয় দল হেরে যাওয়ায় রোহিত শর্মারা যথেষ্টই অখুশি। আপাতত সামনের দিকেই তাকাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া।
বোলিং বিভাগে বদল আনতে হবে ভারতকে-
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে স্টার্ক কামিন্সদের অভিজ্ঞতা যে তাঁদের কাজে লেগেছে সেকথা বলাই বাহুল্য। সিরাজ ভালো বোলিং করলেও সাপোর্টের জন্য শামির মতো একজনের থাকারও যে দরকার রয়েছে তা টিম ম্যানেজমেন্ট দ্রুত বুঝলে ভালো। অন্যথায় তৃতীয় টেস্টে অন্তত আকাশদীপকে একটা সুযোগ দেওয়া উচিত, তার ভারতের মাটিতে পারফরমেন্সের কথা মাথায় রেখে। ডিসেম্বররের ১৪ তারিখ থেকে ব্রিসবেনে শুরু তৃতীয় টেস্ট…