মুম্বই ইন্ডিয়ান্স-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচে আম্পায়ারের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল। আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে সরাসরি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তোলা হয়েছে। আরসিবির ফ্যানদের একাংশের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার পুরো ম্যাচেই তাঁদের প্রতি অবিচার হয়েছে। নো-বল দেওয়া হয়নি। মুম্বইয়ের হাতে রিভিউ না থাকলেও হার্দিক পান্ডিয়াদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। যেটা নিশ্চিত চার ছিল, সেটা দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, মহিপাল লোমররকে যে আউট দেওয়া হয়েছে, সেই সিদ্ধান্ত নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করেছেন আরসিবির ফ্যানদের একাংশ। আর সেইসব অভিযোগের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে যে আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলছেন বিরাট কোহলি। মূলত নীতীন মেননের সঙ্গে কিছু একটা নিয়ে কথা বলছেন। বিরাটকে কিছু একটা বোঝানোর চেষ্টা করতে থাকেন মেনন। কিন্তু বিরাটের অঙ্গভঙ্গি দেখে মনে হয়নি যে তিনি খুব একটা প্রসন্ন হয়েছেন। বরং ‘লা-জবাবের’ মতো যে ইঙ্গিত করেন, তা দেখে মনে হচ্ছিল যে যথেষ্ট বিরক্ত তিনি। নেটিজেনদের একাংশের দাবি, আম্পায়ারদের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করছিলেন বিরাট।
আম্পায়ারদের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক
বৃহস্পতিবার আরসিবির ইনিংসের ২০ তম ওভারের দ্বিতীয় বলটা ফুলটস করেন আকাশ মাধওয়াল। তাতে অবশ্য নো-বল দেননি অনফিল্ড আম্পায়াররা। সেই পরিস্থিতিতে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের (ডিআরএস) দ্বারস্থ হন ব্যাটার দীনেশ কার্তিক। তবে তাতে লাভ হয়নি। নো-বল দেননি তৃতীয় আম্পায়ার। যদিও আরসিবি সমর্থকদের একাংশের দাবি যে ওটা পরিষ্কার নো-বল ছিল।
১৬.২ ওভারে জসপ্রীত বুমরাহের বলে ড্রাইভ মারতে যান ফ্যাফ ডু'প্লেসি। কিন্তু সেটা হয়নি। বলটা উইকেটের পিছনে ইশান কিষানের হাতে চলে যায়। ক্যাচ-আউটের জোরালো আবেদন করেন মুম্বইয়ের উইকেটকিপার ইশান। সেইসময় কোনও রিভিউ পড়ে ছিল না মুম্বইয়ের হাতে। তবে আম্পায়ার রিভিউ নেন মেনন। ক্যাচটা ঠিকভাবে নেওয়া হয়েছে কিনা, সেজন্য তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য চান। তো তখন দেখা যায় যে বলটা ব্যাটে লাগেনি। ফলে ক্যাচের কোনও প্রশ্নই উঠছে না। কিন্তু ওই রিভিউ নেওয়া নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন আরসিবির সমর্থকদের একাংশ।
আরও পড়ুন:
সেইসঙ্গে আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে একেবারেই খুশি হননি আরসিবির সমর্থকদের একাংশ। তাঁরা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে। লোমবরকে যে আউট দেওয়া হয়, সেটা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। বুমরাহের ওভারে এলবিডব্লুর জোরালো আবেদনে তাঁকে আউট দেন অনফিল্ড আম্পায়ার। ডিআরএস নেন মহিপাল। তাতে দেখা যায়, লেগস্টাম্পে বলটা সামান্য লাগতে পারত। ফলে অনফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বজায় থাকে।
চটলেন আরসিবি ফ্যানরা
এক আরসিবির সমর্থকের বক্তব্য, বুমরাহের বলটা বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছিল। মহিপালকে অনফিল্ড আম্পায়ারের আউট দেওয়া উচিত হয়নি। এক নেটিজেন আবার বলেন, ‘ক্রিকেটের সর্বকালের সবথেকে খারাপ আম্পায়ার হলেন নীতীন মেনন (নো বল, ফ্যাফের ক্যাচের আবেদন, মহিপালের আউটের সময় তিনিই আম্পায়ারিং করছিলেন)।’ অপর এক নেটিজন আবার বলেন, ‘মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দ্বাদশ ব্যক্তি।’