নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে ভারত। সেখানে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির অধীনে ৫টি টেস্ট ম্যাচ খেলবে রোহিতরা। তার আগে মিচেল স্টার্কের দুরন্ত ফর্ম চিন্তা বাড়াবে ভারতীয় শিবিরে। অস্ট্রেলিয়ায় শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে বল হাতে জ্বলে ওঠেন এই পেসার। তাঁর দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারল না ব্যাটসম্যানরা। মেলবোর্নে নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে খেলার সময় দুই ইনিংসেই বল হাতে দুরন্ত ছন্দে দেখা যায় স্টার্ককে। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির মতো হাইভোল্টেজ সিরিজের আগে তাঁর জ্বলে ওঠা নিঃসন্দেহে অস্ট্রেলিয়ার জন্য সুখবর।
এই ম্যাচে মিচেল স্টার্ক দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩৬.৫ ওভার বল করে ৭ উইকেট নিয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ৩৫ রান দিয়ে ১ উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৮১ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। দুই ইনিংসেই তিনি মার্কাস হ্যারিসকে আউট করেছেন, যিনি আসন্ন BGT সিরিজে অস্ট্রেলিয়া দলে ওপেনার হিসেবে জায়গা করে নেওয়ার অন্যতম দাবিদার। যদিও অজি পেসারের এই দুরন্ত বোলিং তাঁর দলকে পরাজয়ের হাত থেকে বাঁচাতে পারেনি। ভিক্টোরিয়ার কাছে ১৪১ রানে পরাজিত হয় নিউ সাউথ ওয়েলস। স্টার্কের দলের কোচ গ্রেগ শিপার্ড বিশ্বাস করেন, BGT সিরিজে পরিস্থিতি এদিনের খেলার মতো হলে ভারতের পক্ষে লড়াই কঠিন হবে।
চতুর্থ দিনের লাঞ্চের আগেই জয় ছিনিয়ে নেয় ভিক্টোরিয়া। নিউ সাউথ ওয়েলসের শেষ ৪টি উইকেট নিয়ে জয়ের অন্যতম কারিগর হয়ে ওঠেন স্যাম এলিয়ট। তার আগে নিউ সাউথ ওয়েলসের জোশ ফিলিপ এবং মিচেল স্টার্ক ৬৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলে কিছুটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ফিলিপ ৮৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন। তিনি বাদে নিউ সাউথ ওয়েলসের কোনও ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধশতরান করতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে ভিক্টোরিয়া ২৭২ রানে অলআউট হয়ে গেছিল।
সেই ইনিংসে বল হাতে নজর কাড়েন শন অ্যাবট। ৬২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩৬ রানে অলআউট হয়ে গেছিল নিউ সাউথ ওয়েলস। ভিক্টোরিয়ার হয়ে ৪ ইকেট নিয়েছিলেন ফার্গাস ও’নিল এবং ৩ উইকেট নিয়েছিলেন উইল সাদারল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে লিড নিয়ে খেলতে নেমে ২৪৬ রান করেছিল ভিক্টোরিয়া, ৬ উইকেট নিয়েছিলেন মিচেল স্টার্ক। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪১ রানে অলআউট হয়ে যায় নিউ সাউথ ওয়েলস, শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচ জিতে নেয় ভিক্টোরিয়া।