ভারতের বিশ্বটেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের স্বপ্নকে কার্যত জলে ফেলে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। পরপর দুই টেস্টেই টিম ইন্ডিয়াকে পর্যুদস্ত করে দিয়েছে কিউয়িরা। প্রথম টেস্টে খেল দেখিয়েছিলেন পেসার ম্যাট হেনরি, যেখানে তাও ভুল সিদ্ধান্তের ওপর দায় ঠেলে এড়িয়ে গেছিলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টে স্যান্টনারের কীর্তিতে লজ্জা ঢাকার উপক্রম বিরাট, রোহিতদের।
স্যান্টনার বললেন, কষ্টই হয়েছে বোলিং করতে-
দুই ইনিংস মিলিয়ে প্রায় ৪৯ ওভার বোলিং করেছেন নিউজিল্যান্ডের স্পিনার মিচেল স্যান্টনার। প্রথম ইনিংসে সাত উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও নিয়েছেন ৬ উইকেট। সেই সুবাদে আড়াই দিনেই খেলা শেষ করে সিরিজ জিতে নিয়েছে কিউয়িরা। ম্যাচ শেষে মিচেল স্যান্টনার বলে গেলেন দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করতে বেশ কষ্টই হয়েছে তাঁর।
কোচ গম্ভীরকে নিয়েও উঠছে প্রশ্ন-
রাহুল দ্রাবিড় যতদিন ভারতীয় দলে ছিলেন, টেস্ট দলে ক্রিকেটারদের খেলার মানসিকতায় এতটাও বদল আসেনি। রোহিত শর্মা সব ক্ষেত্রেই কিছুটা আগ্রাসী খেলতে গিয়ে যেমন দলকে বেকায়দায় ফেললেন, তেমনই দলের বাকিদের খেলার স্টাইলও বদল হয়ে গেল। ইংল্যান্ড বাজবল খেললেও তাঁদের তুলনায় টেস্টে ভারতের সাফল্য বেশিই ছিল। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে যখন ইনিংস স্লো ডাউন করার দরকার, বড় রান তুলতে উইকেটে পড়ে থাকতে হত তখন দুই টেস্টেই দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র, ভারতীয় ব্যাটাররা চালিয়েই খেলেছেন।
ক্রিকেটারদের মানসিকতায় কেন পরিবর্তন?
২০২১ সালে গাব্বায় ৩২৯ রান তাড়া করে জিতেছিলেন শুভমন গিল, ঋষভ পন্তরা। অথচ ঘরের মাঠে তিন বছর পর তাঁরাই যেন সেই সব অতীতের অভিজ্ঞতা সব ভুলে গেলেন। এমন এমন শট খেলতে গিয়ে এবং ঝুঁকিপূর্ণ রান নিতে গিয়ে আউট হলেন, যা দেখে বোঝাই যাচ্ছে টেস্ট খেলার টেম্পারমেন্টের ব্যাপক অভাব রয়েছে তাঁদের। এক্ষেত্রে গৌতম গম্ভীরের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। কারণ কোচ হয়ে তাঁরই উচিত দলকে গাইড করা, ঠিক কি রণনীতিতে প্রতিপক্ষকে বেগ দিতে হবে।
ম্যাচের সেরা হলেন মিচেল স্যান্টনার-
ম্যাচ শেষে ১৩ উইকেট নিয়ে কিউয়িদের জেতানো মিচেল স্যান্টনার বলছিলেন, ‘প্রথম ইনিংসের থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে তেমন কিছু বদল হয়নি, তবে একটু কঠিন ছিল আমাদের দিকে। কারণ শুরুতে ভারতীয় দলের ব্যাটারর ভালো শট খেলছিল এবং রান তুলছিল। আমরা জানতাম আমাদেরও সুযোগ আসবে। আমার পিঠে আর কোমরে ব্যথা হচ্ছিল, ফুলেও গেছে। অত্যাধিক বল করার কারণে। ’।
আজ আমি থামতামই না, বলছেন স্যান্টনার-
নিজের চোট নিয়ে স্যান্টনার বলছেন, ‘যতই ব্যাথার জায়গায় ফুলে থাকুক না কেন আমি আজ থামতামই না। যতবার উইকেট নিচ্ছিলাম মনে হচ্ছিল ব্যাথা কমে যাচ্ছে। বিষয়টা আমার কাছে একটু কঠিন হলেও দলের জন্য আমায় করতেই হত। আমাদের হাতে এখন মুম্বইয়ের বিপক্ষে ম্যাচ রয়েছে। টেস্টের সঙ্গে সিমিত ওভারের পার্থক্য রয়েছে, টেস্টে উইকেট তুলতে পারলেন আত্মবিশ্বাসে অনেকটা পরিবর্তন আসে ’।