বড় তারকারা সব সময়ে বড় মঞ্চে জ্বলে ওঠেন। মঙ্গলবার ২০২৪ আইপিএলের কোয়ালিফায়ার ওয়ানে যেমনটা জ্বলে উঠলেন মিচেল স্টার্ক। তাঁর আগুনে স্পেলে পুরো কেঁপে গেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের টপ অর্ডার। ৫ ওভারের মধ্যেই তারা ৪ উইকেট হারিয়ে বসে। তার মধ্যে তিন উইকেটই তুলে নিলেন একা মিচেল স্টার্কই।
আরও পড়ুন: হার্দিককে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়েছে- MI-এর ব্যর্থতা নিয়ে দাবি হরভজনের
প্রথম ওভারেই বোল্ড করেন হেডকে
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কোয়ালিফায়ার ওয়ানের ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ফিল্ডিং করতে নামে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আর বল হাতে দুরন্ত শুরু করেন কেকেআর-এর তারকা পেসার মিচেল স্টার্ক। হায়দরাবাদের ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ট্র্যাভিস হেডের স্টাম্প গুঁড়িয়ে দেন স্টার্ক। এবার আইপিএলে দুরন্ত ছন্দে থাকা হেডের মিডল এবং অফস্টাম্প দু'টোই পুরো উড়ে যায়। ২ বল খেলে শূন্য হাতে ফিরতে হয় ট্র্যাভিস হেডকে। হেড হলেন হায়দরাবাদ দলের অন্যতম ব্যাটিং স্তম্ভ। সেই হেডকে ফেরানো দিয়ে শুরু, তার পর স্টার্কের বোলিং কেরামতিতে আরও দুই বিপক্ষের ব্যাটারকে ফিরতে হয় পাওয়ার প্লে-তেই।
পঞ্চম ওভারে পরপর দুই উইকেট নিলেন হেড
সাধারণত দু’ওভার বল করিয়ে, সেরা বোলারের ওভার বাঁচিয়ে রাখা হয়। কিন্তু শ্রেয়স আইয়ার সুযোগ বুঝে এই ম্যাচে স্টার্ককে পাওয়ার প্লে-তেই তিন ওভার বল করান। যার সুফলও পান কেকেআর অধিনায়ক। পঞ্চম ওভারে বল করতে এসে শেষ দুই বলে স্টার্ক নেন আরও দুই উইকেট। তিনি ফেরান নীতীশ কুমার রেড্ডি (৯) এবং শাহবাজ আহমেদকে (০)। রহমানুল্লাহ গুরবাজের হাতে ক্যাচ গিয়ে সাজঘরে ফেরেন নীতীশ।
আর ওভারের শেষ বলে শাহবাজের মিডল স্টাম্প উড়িয়ে দেন স্টার্ক। লেন্থ বলটি ছিল আউটসাউড অফের দিকে। বলটি দেখে ক্রস-সিম ডেলিভারির মতো লাগছিল, শাহবাজ বলটি ডিপ থার্ডে মারার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বোল্ড হয়ে যান শাহবাজ। প্রথম স্পেলে মিচেল স্টার্ক ৩ ওভার বল করে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। চাপে পড়ে যায় হায়দরাবাদ।
আর এক উইকেট পেতে পারতেন স্টার্ক
প্রথম ওভারে রমনদীপ সিং জঘন্য ফিল্ডিং না করলে এবং পয়েন্টে সুনীল নারিন একটা ক্যাচ নিতে পারলে ‘ডবল উইকেট’ মেডেন দিয়ে ম্যাচটা শুরু করতে পারতেন স্টার্ক। ক্যাচটা তেমন কঠিন ছিল না। আর নারিনের কারণে যে ব্যাটার জীবনদান পান, সেই রাহুল ত্রিপাঠির উইকেট নেওয়ার আরও একবার সুযোগ পেয়েছিলেন স্টার্ক। তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে স্টার্কের ভয়ংকর ইয়র্কার আছড়ে পড়ে ত্রিপাঠির পায়ে। মিডল এবং লেগস্টাম্প লাইনে বলটা ছিল। জোরালো আবেদন করলেও, আউট দেননি ফিল্ড আম্পায়ার। কিছুক্ষণ আলোচনা করেন স্টার্ক, শ্রেয়সরা। ব্যাট লেগেছে ভেবে ডিআরএস নেয়নি কেকেআর। কিন্তু পরে দেখা যায় যে বলটা লেগস্টাম্পে আছড়ে পড়ত। যদি ডিআরএস নেওয়া হত, তাহলে সেই সময়ে ২০ রানে তিন উইকেট পড়ে যেত সানরাইজার্সের।
আরও পড়ুন: KKR আত্মবিশ্বাসী, কিন্তু আত্মতুষ্ট নয়- SRH-কে সতর্ক করলেন পাক কিংবদন্তি
পাওয়ার প্লে-তেই চাপে পড়ে যায় কামিন্সের দল
প্রসঙ্গত হায়দরাবাদের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বৈভব অরোরা ফেরান অভিষেক শর্মাকে (৩ রান)। এই ম্যাচের পিচ যে পেস বোলিং সহায়ক, সেটি বোঝাই যাচ্ছে। টসে জিতে হায়দরাবাদের প্রথমে ব্যাটিং নেওয়া কলকাতা দলের কাছে যেন আশীর্বাদই হয়ে গিয়েছে। যার জেরে প্রথম ছয় ওভারে ৪৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে থাকে হায়দরাবাদ। শেষ পর্যন্ত ১৯.৩ ওভারে ১৫৯ রানে অলআউট হয়ে যান প্যাট কামিন্সরা।