ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। আজকে যে রাজা, কালকে সে ফকির। অন্তত মিচেল স্টার্ককে দেখলে সেটাই মনে হবে। গত অকশনে তাঁকে রেকর্ড অর্থের বিনিময় দলে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR)। এবার তাঁকে দলেই রাখল না তারা। যদিও অকশনে কী হবে সেটা এখন বলা সম্ভব নয়, তবে এই ঘটনায় হতাশ হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই স্পিড স্টার। দ্য টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় স্টার্ক বলেছেন, ‘আমি এখনও তাদের কাছ থেকে কিছু বার্তা পাইনি। এটাই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট! এবার হাদরাবাদের ছেলেদের (ট্র্যাভিস হেড এবং প্যাট কামিন্স) নাম বাদে সবার নাম অকশনে উঠবে।’
KKR-এর মিচেল স্টার্ককে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় অনেকেই অবাক হয়েছেন। বিশেষত প্লে অফে তাঁর অনবদ্য পারফরম্যান্সের পর। IPL ২০২৪-এ মিচেল স্টার্ক KKR-এর হয়ে ১৪ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন। যদিও গ্ৰুপ পর্বের ম্যাচে কিছুটা খারাপ ফর্মে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। শুধু স্টার্ক নন, নাইট রাইডার্স অনেক তারকা ক্রিকেটারকেই রিটেন না করার সিদ্ধান্ত নেয় এবার। ছেড়ে দেওয়া হয়েছে অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারকেও। রিটেন করা হয়েছে রিঙ্কু সিং, আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, বরুন চক্রবর্তী, রমনদীপ সিং এবং হর্ষিত রানাকে। বেশিরভাগ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদেরই রিটেনশনে শিকে ছেড়েনি। এখন IPL ২০২৫-এর মেগা অকশনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের ভাগ্য কী হবে সেটা জানার জন্য। তবে নিলামে যে স্টার্কের চাহিদা বেশ ভালো থাকবে তা বলাই যায়। টি-২০ ক্রিকেটে সব দলই তাঁর মতো একজন ভালো পেসারকে নিজেদের স্কোয়াডে পেতে চায়।
স্টার্ক আপাতত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ খেলছেন, যেখানে তাঁর ফর্ম এবং ফিটনেস নিঃসন্দেহে যাচাই করা হবে অকশনের আগে। তাঁর অভিজ্ঞতা, নতুন বলে সুইং করার দক্ষতা এবং চাপের মধ্যে ডেলিভারি করার ক্ষমতা তাঁকে একজন শ্রেষ্ঠ বোলার হিসেবে গড়ে তুলেছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বা এমনকি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে স্টার্কের। উল্লেখ্য, RCB-র হয়ে তিনি ২০১৫ সালে IPL খেলেছিলেন। এখনও পর্যন্ত স্টার্ক ৪১টি IPL ম্যাচ খেলেছেন। যেখানে তিনি মোট ৫১টি উইকেট নিয়েছেন, গড় ২২.২৯। বেস্ট বোলিং ফিগার ২২/৪ এবং ইকোনমি রেট ৮.২১। কলকাতার হয়ে খেলার আগে ২০১৫ সালে RCB হয়ে তিনি ১৩টি ম্যাচ খেলে ২০ উইকেট নিয়েছিলেন।