বিয়ে করতে গেলে মহিলা বা পুরুষদের কত অদ্ভূত রকমের পরিস্থিতিতে পড়তে হয়, সেটাই মুখ ফুটে বলে দিলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মিতালি রাজ। সম্প্রতি রণবীরের জনপ্রীয় পডকাস্টে শোতে গেছিলেন ভারতীয় দলের এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। সেখানে গিয়ে বিভিন্ন মজাদার গল্প বলতে গিয়েই মিতালি বলছিলেন, বিয়ের জন্য ছেলেরা তাঁকে কিরকম সব অদ্ভূত প্রস্তাব দিয়েছিল।
বরাবরই নিজের জীবনের থেকে আগে দেশকেই রেখেছেন মিতালি রাজ। বয়স ৪০ হয়ে গেলেও এখনই এলিজেবেল সিঙ্গলই রয়েছে মিতালি। হয়ত ভবিষ্যৎে বিয়ে করে সংসারও করবেন। কিন্তু তাঁর খেলা চলাকালীন পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছাতে একাধিক পাত্রের সঙ্গেই তাঁকে কথা বলতে হয়েছিল। আর তখনই তাঁকে কি ধরণের অদ্ভূত সব কথা বলা হয়, তাই সম্প্রতি জানিয়েছেন মিতালি।
ভারতীয় দলের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার হওয়ার পাশাপাশি তিনি বিশ্বক্ষেত্রেও অন্যতম সফল মহিলা ক্রিকেটার। দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বকাপেও রয়েছে একাধিক নজির। অথচ খেলা চলাকালীনই তাঁকে বলা হয়েছিল, বিয়ে করলে তারপর খেলাধূলার পাঠ চুকিয়ে সংসারে মন দিয়ে বাচ্চা মানুষ করতে হবে।
মিতালি রাজ বলছেন, ‘আমি সত্যিই কিছু কথার কোনও মানে খুঁজে পাই না। আমার মাসি কয়েকটা পাত্র খুঁজেছিল, আমায় তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে হয়েছিল। আমি রাজি হয়েছিলাম। একটু কথা বলার পরই সবাই সোজা বিয়ে পরবর্তী চিন্তাভাবনায় চলে যেত। যে কতগুলো বাচ্ছা আমাদের দরকার আমি এসব কথা বলায় একটু পিছিয়েই পড়তাম। আমি তখনও দেশের ক্রিকেটের কথাই ভাবতাম, তখনও আমায় বলত যে ক্রিকেট ছেড়ে দিতে হবে ’।
রণবীর আলাবাদিয়ার শোতে মিতালি আও বলছেন, ‘আমি সেই সময় ভারতীয় দলের অধিনায়ক। একজন পাত্র আমায় বলল, বিয়ের পর তোমায় খেলা ছেড়ে দিতে হবে, বাচ্চাদের দেখাশোনা করতে হবে। আমি তখনও ওর কথাগুলো শুনে নিচ্ছিলাম। এরপর হঠাৎই জিজ্ঞাসা করল, যে তাঁর মায়ের কিছু হলে আমি ক্রিকেট খেলব না তাঁকে দেখব? আমিও পাল্টা বললাম, এটা কি ধরণের প্রশ্ন? তখন সে বলছে, আমি দেখতে চাই তোমার কাছে কে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এরপর আমি বললাম, যে পরিস্থিতির ওপর সব নির্ভর করে। আমি ছেলেটার নাম জানিনা, তবে বিষয়টা আমায় খুব বিরক্ত করেছে ’।
মিতালি বলছেন, তার বন্ধুরাও নাকি তাঁকে বলত একটু পার্টনারের বিষয় মানিয়ে নিতে হবে। মিতালির কথায়, ‘আমার মনে আছে, আমার একজন ক্রিকেটার বন্ধু আমায় বলেছিল কিছু বিষয় মানিয়ে নিতে হবে, কারণ কেউ আমায় আমার বর্তমান লাইফস্টাইল নিয়ে থাকতে দেবে না। আমি ওকে বলেছিলাম, যে ওসব প্রশ্নের কোনও মানেই নেই। কিন্তু ও বলেছিল, অনেক ছেলেরাই এরকম প্রশ্ন করে। তখনও আমি কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি, পরে আমি ভাবলাম। আমার মা-বাবা এত কষ্ট করে আমার কেরিয়ার বানিয়েছে, এত কিছু ত্যাগ করেছে। তাই কোনও অচেনা অজানা লোকের জন্য এভাবে আমি আমার ক্রিকেট বা কেরিয়ারকে ত্যাগ করতে পারব না ’।