ভারতের দ্বিতীয় মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে ICC-র হল অফ ফেমে জায়গা পেয়েছেন নীতু ডেভিড। বর্তমানে তিনি ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক। ৪৭ বছর বয়সী নীতু একদা ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। তিনি মূলত বাঁ-হাতি স্পিনার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে ৭ ফেব্রুয়ারি নেলসনে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয় নীতুর। ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ার মাসে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে শেষবার টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন তিনি। নীতু ১০টি টেস্ট এবং ৯৭টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন। ডায়না এডুলজির পর নীতু ভারতের দ্বিতীয় মহিলা ক্রিকেটার হিসাবে ICC-র থেকে এই সম্মান পেলেন। তাঁর এই সম্মানিত হওয়া প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মিতালি রাজ।
ICC-এর তরফে সেই ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে তাদের অফিশিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। মিতালি বলেন, ‘আমার প্রিয় ক্রিকেটার এবং ভারতের অন্যতম সেরা বাঁ-হাতি স্পিনার নীতু ডেভিড’। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক তাঁর ছোটবেলার স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, ‘সালটা ১৯৯৭, কলকাতায় প্রথম বিশ্বকাপের ক্যাম্পে যখন আমি উপস্থিত হই তখন আমার বয়স ১৩ বছর। আমার বাবা আমাকে ছেড়ে দিয়ে আসতে গিয়েছিল। আমাদের সেখানে প্রথম যার সঙ্গে দেখা হয়েছিল সে হল নিতু ডেভিড। আমার বাবা তাকে বলে আমার মেয়েকে দেখে রেখ, ও খুবই ছোটো। সেই থেকে তার অবসর গ্রহণের আগে পর্যন্ত আমরা দু’জন খুব ভালো বন্ধু হয়ে ছিলাম’। নীতু যেইভাবে বল স্পিন করতেন তার প্রশংসা করেন মিতালি।
তিনি বলেন, ‘নীতুর বলের উপর অসাধারণ নিয়ন্ত্রণ ছিল। সে যেকোনও পিচে বলকে স্পিন করতে পারত। অনেক ক্রিকেটারেরই পাটা উইকেটে বল করতে সমস্যায় পড়তে হতো। কিন্তু নীতু ডেভিড যেকোনও পিচে বল ঘুরিয়ে দেখিয়ে দিত। যখনই কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হতো, তখন সে একজন অধিনায়ক, একজন খেলোয়াড় হিসেবে সব সময় সামনে এগিয়ে এসে দলের জন্য অবদান রাখত। ২০০৫ মহিলা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সে অসাধারণ বোলিং করেছিল। ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছিল সেই ম্যাচে, যেই কারণে প্রথমবার ভারত মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল’। এরপর মিতালি রাজ একটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট প্রসঙ্গে বলেন, ‘ও উত্তরপ্রদেশের হয়ে খেলছিল। সে জানত এরপর উইকেট পড়লে মিতালি ব্যাট করতে আসবে। তাই নিজের স্পেল শেষ না করে ওভার বাঁচিয়ে রেখেছিল, যাতে আমার বিপক্ষে বল করতে পারে। তার এই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক মনোভাব তাকে মহান করে তুলেছে। তাই এই পুরস্কার নীতুর থেকে বেশি পাওয়ার যোগ্য কেউ নয়’।