পাকিস্তানের কাছে হার দিয়ে চলতি যুব বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করে ভারত। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই জাপানকে বিরাট ব্যবধানে পরাজিত করে সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকে অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দল। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সেমিফাইনালের আগেই শেষ লিগ ম্যাচটি ভারতের কাছে নক-আউট পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে গিয়েছে।
আসলে পাকিস্তান তাদের প্রথম ২টি ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলে। তারা প্রথম ম্যাচে হারায় ভারতকে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে পরাজিত করে আমিরশাহিকে। ভারত ও আমিরশাহি, উভয়েই নিজেদের প্রথম ২টি ম্যাচে একটি করে জিতেছে এবং হেরেছে একটি করে ম্যাচ। পাকিস্তানের কাছে হারলেও ভারত জিতেছে জাপানের বিরুদ্ধে। আমিরশাহি জাপানকে হারালেও হেরেছে পাকিস্তানের কাছে।
এই অবস্থায় ভারত-আমিরশাহির মুখোমুখি লড়াইয়ে যে দল জিতবে, তারা পাকিস্তানের সঙ্গে এ-গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালের টিকিট হাতে পাবে। যারা হারবে, জাপানের সঙ্গে গ্রুপ লিগ থেকে বিদায় নিতে হবে তাদের।
জাপানের বিরুদ্ধে বিরাট জয় ভারতের
সোমবার শারজায় অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের এ-গ্রুপের ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে ভারত ও জাপান। টস জিতে ভারতকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় জাপান। ক্যাপ্টেন মহম্মদ আমনের শতরান এবং আয়ুষ মাত্রে ও কেপি কার্তিকেয়ার জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ভর করে ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৩৩৯ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে।
দাপুটে শতরান মহম্মদ আমনের
আমন ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৮ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকান ১০৬ বলে। সাহায্য নেন ৫টি বাউন্ডারির। শেষমেশ ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১৮ বলে ১২২ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ভারতের ক্যাপ্টেন।
আয়ুষ মাত্রে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষেমশ ৬টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ২৯ বলে ৫৪ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। বৈভব সূর্যবংশী ২৩ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মারেন ৩টি চার ও ১টি ছক্কা।
২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৮ বলে ৩৫ রান করেন আন্দ্রে সিদ্ধার্থ। কেপি কার্তিকেয়া ৪৯ বলে ৫৭ রান করে মাঠ ছাড়েন। মারেন ৫টি চার ও ১টি ছক্কা। হার্দিক রাজ ১২ বলে ২৫ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তিনি ১টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। জাপানের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ইয়ামামোতো ও হুগো কেলি।
পালটা ব্যাট করতে নেমে জাপান নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১২৮ রানে আটকে যায়। ফলে ২১১ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতে ভারত।
ওপেনার হুগো কেলি জাপানের হয়ে লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন। ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১১ বলে ৫০ রান করে আউট হন তিনি। ৬৮ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন চার্লস হিনজে। তিনি ২ টি চার মারেন। এছাড়া ৩১ বলে ১৪ রান করেন নিহার পারমার।
ভারতের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন চেতন শর্মা, হার্দিক রাজ ও কেপি কার্তিকেয়া। ৭ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন যুধাজিৎ গুহ।