চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য দল ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। এদিন অধিনায়ক রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করা হয়েছে। সহ অধিনায়ক হয়েছেন শুভমন গিল। উইকেটকিপারদের মধ্যে ঋষভ পন্ত, সঞ্জু স্যামসন এবং ধ্রুব জুরেলের মধ্যে লড়াই ছিল। তবে শেষ হাসি হেসেছেন ঋষভ। ১৫ সদস্যের দলে রাহুলের সঙ্গে উইকেটকিপার হিসাবে রয়েছে তাঁর নাম। যদিও দল নির্বাচনের আগে প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ মনে করছিলেন উইকেটকিপার হিসাবে সুযোগ পাওয়া উচিত সঞ্জু স্যামসনের। তিনি মনে করছিলেন ঋষভের থেকে এগিয়ে রয়েছেন সঞ্জু। সম্প্রতি খুব ভালো পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন সঞ্জু। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টি-২০ ম্যাচে অনবদ্য ফর্ম বজায় রেখেছিলেন। ঠিক একইভাবে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন তিনি।
মহম্মদ কাইফ নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় এগিয়ে রয়েছে সঞ্জু স্যামসন। ঋষভ পন্তের সঙ্গে মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে। টেস্টে সে একজন বড় ম্যাচ উইনার। ওর গাব্বা ও দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরির কথা কে ভুলতে পারে? বিদেশের কন্ডিশনে ভালো পারফর্ম করে সে। ও একজন ভালো উইকেটরক্ষক। ঋষভ পন্ত সঞ্জু স্যামসনের চেয়ে ভালো উইকেটরক্ষক। সে প্রায় এমএস ধোনির সমান পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে ব্যাটিং নিয়ে যখন কথা হবে তখন মনে হয় সঞ্জু স্যামসন ঋষভ পন্তের থেকে এগিয়ে রয়েছে। সে অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় সেঞ্চুরি করেছে, চারের চেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছে। ছক্কা মারার ক্ষমতা আছে তার। সে ধারাবাহিক হয়ে উঠেছে।’
কাইফ আরও বলেন যে ঋষভ পন্তকে বাস্তবতা বুঝতে হবে এবং মেনে নিতে হবে যে তাঁর সাদা বলের ক্রিকেটে পরিসংখ্যান দুর্দান্ত নয়। তিনি মনে করেছিলেন যে সঞ্জু স্যামসন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দলে সুযোগ পাওয়ার যোগ্য। কাইফ বলেন, ‘২০১৫ সালে হারারেতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল সঞ্জুর এবং তারপর দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলে ২০২০ সালে। ২০২৪ সাল তার ক্যারিয়ারের সেরা বছর ছিল। কখনও তাকে দিয়ে ওপেন করানো হয়, আবার কখনও মিডল অর্ডারে ব্যাট করানো হয়। ওর কোনও স্থায়ী জায়গা ছিল না। সে অনেক উত্থান-পতন দেখেছে, কিন্তু আমরা কখনই তাকে পুরোপুরি সমর্থন করিনি। আমার মনে হয় সঞ্জু স্যামসন ঋষভ পান্তের চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সঞ্জু স্যামসন একজন ঠান্ডা মাথার ব্যাটার। আইপিএলে নেতৃত্ব দেওয়ায় ও উপকৃত হয়েছে। ও যেই স্তরে পৌঁছেছে সেখানে আপনাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে কেএল রাহুলের সঙ্গে ওকে রাখতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ঋষভের বাস্তবতা বোঝা উচিত। যদি ওকে এসে কেউ বলে - তোমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে - তাহলে ওর সেই সব বন্ধুদের থেকে দূরে থাকা উচিত। কাউকে তাকে বলতে হবে যে তার সাদা বলের পরিসংখ্যান তেমন দুর্দান্ত নয়। সঞ্জু স্যামসন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যাওয়ার যোগ্য। ঋষভ পন্তকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’