নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে হার। সিনিয়র ক্রিকেটারদের নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। প্রশ্ন উঠছে তাঁদের ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলার মানসিকতা নিয়ে। অনেকেই মনে করছেন নিউজিল্যান্ড এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে দলীপ ট্রফিতে যদি বিরাট-রোহিতরা অংশগ্রহণ করতেন তাহলে তা তাঁদের জন্যই ভালো হতো। অনেকেই তাঁদেরকে রঞ্জি ট্রফি খেলারও পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফও একই ধরণের ভাবনা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, তারকা ক্রিকেটারদের বড় গাড়ি-প্লেন, ভিআইপি ট্রিটমেন্ট ছেড়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে নামা উচিত।
রঞ্জি ট্রফিতে বর্তমানে দিল্লি বনাম চণ্ডীগড় এবং মুম্বই বনাম ওড়িশার ম্যাচ চলছে। ভারতীয় দল সপ্তাহের শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারে। তাই, কাইফ মনে করেন নির্দিষ্ট কিছু খেলোয়াড়দের রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে অংশ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘একেবারে, তাদের ফর্ম দরকার এবং তাদের এখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাট করা উচিত ছিল। যদি তারা শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি করত, তবে এটি তাদের আসন্ন সিরিজের আগে প্রচুর উপকার করত এবং মনোবল চাঙ্গা করার কাজ করত।’
কাইফ ২০২০ বর্ডার-গাভাসকর সিরিজের একটি ঘটনা উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে ঋষভ পন্তের কথা মনে করিয়ে দেব। গাব্বায় ও জয়সূচক রান করেছিল। কিন্তু সে সেই সফরে টি-২০ বা ওডিআই দলে ছিল না। সে সেখানে শুধুমাত্র টেস্ট খেলতে গেছিল। তার জায়গায় আগে দলে জায়গা পেয়েছিল ঋদ্ধিমান সাহা। যেখানে ভারত ৩৬ রানে অলআউট হয়ে গেছিল এবং আমরা ম্যাচটা হেরেছিলাম। এরপর দলে জায়গা পায় ঋষভ। তবে মনে রাখতে হবে সে এর আগে একটি প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলেছিল। সেখানে শতরান লাগায় ও। তারপরে তাকে প্রথম একাদশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাই সে তখন সম্পূর্ণ ভিন্ন খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হয়।’
কাইফ কোহলি, রোহিত সহ অন্যান্যদের ভিআইপি সংস্কৃতি ভুলে যাওয়ার এবং তাদের ফর্ম ফিরে পেতে হলে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরত আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সুতরাং যারা মনে করে যে তারা রান করতে হিমশিম খাচ্ছে এবং খেলার পর্যাপ্ত সময় পায়নি, তাদের ১০০ শতাংশ ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা উচিত। ভুলে যাও যে তুমি বড় গাড়ি এবং ফ্লাইটে ভ্রমণ কর, সেখানে তুমি ভিআইপি পরিষেবা নাও পেতে পার। যদি ফর্ম খুঁজে পেতে হয়, তাহলে তোমাকে সবরকম ভাবে প্রচেষ্টা করে যেতেই হবে।’