অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য ভারতীয় দল ঘোষণা হয়েছে।ওয়ানডে দলের ক্যাপ্টেন্সি তুলে দেওয়া হয়েছে শুভমান গিলের হাতে। রোহিত শর্মার হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে নেতৃত্বের ব্যাটন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ও নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান অজিত আগরকারের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরেই ক্রিকেট মহলে চলছে তুমুল আলোচনা। এই আবহে শুভমন গিলকে একদিনের ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে কিছুতেই মানতে পারছেন না প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ।
মহম্মদ কাইফ মনে করেন, এই পটপরিবর্তন ২০২৭ বিশ্বকাপের পরে করা উচিত ছিল। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভারতের প্রাক্তন তারকা বলেন, 'এটা অবশ্য কিছুটা প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল, এটা হয়ত ২০২৭ সালের একদিনের বিশ্বকাপের পরে হবে। কারণ, অধিনায়ক হিসেবে রোহিতকে আরও একটু সময় দেওয়া যেত। ফিটনেসের দিক থেকেও রোহিত এখন অনেক উন্নতি করেছেন।ব্যাটিং প্রস্তুতি নিয়েছে। ফিটনেস পরীক্ষা দিয়েছে। আর কী চাই?’ কাইফের মতে, এত তাড়াহুড়ো করে গিলকে অধিনায়ক বানিয়ে নির্বাচকরা তাঁর মাথায় অতিরিক্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত গিলের পারফরম্যান্সের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে এবং ভারতের জন্য তা একটি বড় ধাক্কা হতে পারে যে কোনও প্রতিযোগিতায়। তাঁর কথায়, আমার কথা হলো, ওকে অতিরিক্ত বোঝা দিও না। গিল টেস্টে নেতৃত্ব দিচ্ছে, আবার ৪ নম্বরে ব্যাট করছে। এশিয়া কাপে তাঁকে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছিল-সূর্যকুমার যাদব সরে গেলেই ও দায়িত্ব নেবে। এখন আপনি তাঁকে তাকে ওয়ানডে অধিনায়ক করছেন। আমার মনে হয় সবকিছু তাড়াহুড়ো করে করা হচ্ছে।'
প্রাক্তন ক্রিকেটার আরও বলেন, 'একজন খেলোয়াড় কখনও অধিনায়কত্ব দাবি করে না। সবাই জানে যে ও এটা চায়নি। আমি নিশ্চিত অজিত আগরকর ও গৌতম গম্ভীর চাপ সৃষ্টি করেছে শুভমনের উপরে। ওকে চাপ না দিলে নিজের থেকে নিশ্চয়ই নেতৃত্ব চাইবে না। ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য এটা ভাল হল না।' এরপরেই মুম্বইকরের পাশে দাঁড়িয়ে কাইফ বলেন, ‘কী দোষ ছিল রোহিতের? কেন ওকে বাদ দেওয়া হল? একটা কথা ভেবেই খারাপ লাগছে যে রোহিতের মতো অধিনায়ককে চার বছরও আমরা পেলাম না।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘ রোহিত অসাধারণ ব্যাটসম্যান। ভাল অধিনায়ক। দলকে নেতৃত্ব দিতে পারে। ও অধিনায়ক থাকলে ভারত আরও ট্রফি জিততে পারত। কোনও ক্রিকেটারের থেকে যখন অধিনায়কত্ব ছিনিয়ে নেওয়া হয়, তখন মনে হয় তার ডান হাত বাদ গিয়েছে।' টি-২০ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটিং ফর্মের অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠিত হতে চলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর, হয়ত গিলকেই টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
১৯ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে সিরিজ। সেখানে রোহিত ও কোহলির ফেরার কথা রয়েছে। তাঁরা খেলবেন নতুন অধিনায়কের ছত্রচ্ছায়ায়।অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজে গিল একদিনের অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক করবেন। এই সিরিজের পারফরম্যান্সেই নির্ধারিত হতে পারে রোহিত ও কোহলির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের পরবর্তী পথচলা।
