ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ শামির জীবন যেন চড়াই উৎড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে রয়েছে। কখনও স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ হয়, আবার কখনও রাজকীয় কামব্যাক হয়। গতবারের ওডিআই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরই পায়ে চোট লাগে তাঁকে। এরপর পায়ে অস্ত্রোপচারের জন্য, তাঁকে মাঠের বাইরে ছিটকে যেতে হয়েছিল।
আরও পড়ুন-ভারত প্রথম টেস্টে জিতবে! জানতেন মহারাজ! লিড নিতেই করেছিলেন মাইকেল ভনকে টেক্সটও…
নভেম্বর মাসেই চলতি বছরে মাঠে ফিরেছেন শামি। ভারতীয় দলের এই স্পিডস্টার বাংলা দলের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে মাঠে ফেরেন । মাঠে ফিরেই তিনি ঝলক দেখিয়েছিলেন। বর্তমানে খেলছেন সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিকে। কোনও ম্যাচে উইকেট পাচ্ছেন, আবার কোনও ম্যাচে পাচ্ছেন না। মোটের ওপর তাঁর বোলিং ভালোই হচ্ছে বাংলার এই পেসারের।
যদিও মহম্মদ শামি এখনও ভারতীয় দলে কামব্যাক করতে পারেননি। টিম ইন্ডিয়ার এই তারকা পেসারকে বর্ডার গাভাসকর ট্রফির আগেই মাঠে ফিরিয়েছিল বিসিসিআই। তাঁকে দেখে নিতে চেয়েছিলেন নির্বাচকরা। বর্তমানে বিসিসিআইয়ের তরফে থেকে বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে শামির ওপর, তাঁর ফিটনেসের খতিয়ান হাতের তালুতে রাখার জন্য। যদিও অস্ট্রেলিয়া সফরে জেতে না পেরে কিছুটা মন খারাপ এই পেসারের।
আরও পড়ুন -তিনটি আলাদা নেটে বিশেষ অনুশীলন! অ্যাডিলেডে রানে ফিরতে মরিয়া ল্যাবুশেন
ভারতীয় দলের তারকা পেসার মহম্মদ শামি এবার বার্তা দিলেন। নিজের সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে শামির বার্তা মন ছুঁয়ে নিল সকলের। তিনি ইনস্টাগ্রামে লিখলেন, ‘বোলিং ইজ মাই হার্টবিট, অ্যান্ড ক্রিকেট ইজ মাই সোল। উইদাউট দেম, লাইফ ডাজ নট মেক এনি সেনস( অর্থাৎ বোলিং হচ্ছে আমার হৃদস্পন্দন, ক্রিকেট হচ্ছে আমার আত্মা। এদের ছাড়া জীবনের কোনও মানেই হয়না ’।
এদিন বাংলা দলের হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতেও মেঘালয়ের বিরুদ্ধে দুরন্ত বোলিং করেন মহম্মদ শামি। তিনি দলের জয়ের বড় ভূমিকা রাখেন। তিনি উইকেট না তুলতে পারলেও তাঁর দুরন্ত বোলিংয়ের সুবাদেই মেঘালয়কে অনেক কম রানের মধ্যে বেঁধে ফেলে বাংলা দল। শেষ পর্যন্ত শামির দল জিতেও যায় এই ম্যাচে। অভিষেক পোড়েল ৩১ বলে ৬১ রান করে বাংলাকে জেতান।