ফের একবার জাতীয় দলে ফেরার আশা নিয়ে বাংলার হয়ে মাঠে নামছেন মহম্মদ শামি। গতবছর ওডিআই বিশ্বকাপের মঞ্চে চোট পাওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন তিনি। প্রায় এক বছর পর বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে বল হাতে দেখা যায় তাঁকে। খেলেন সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতেও। একটা সময় অস্ট্রেলিয়ায় উড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছিল বর্ডার গাভাসকর ট্রফির শেষ দুটো টেস্টে ভারতের জার্সি গায়ে মাঠে নামতে দেখা যেতে পারে শামিকে। তবে শেষ পর্যন্ত সেটা সম্ভব হয়নি। তাই এখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে পাখির চোখ করছেন বাংলার এই পেসার। পরের মাসের ১৯ তারিখ থেকে শুরু হবে এই প্রতিযোগিতা। এখনও দেড় মাসের মতো সময় রয়েছে শামির হাতে।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফেরার আগে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে নিজেকে পুরো ফিট করে তুলতে চান মহম্মদ শামি। সেই লক্ষ্যে বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলতে দেখা যাবে তাঁকে। অবশ্য প্রথম থেকেই এই প্রতিযোগিতায় বাংলার হয়ে খেলার কথা ছিল তাঁর। তবে হাঁটুর সামান্য চোটের কারণে সেটা শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। কিন্তু এখন তিনি ফিট। বিহারের বিরুদ্ধে ম্যাচ থেকে খেলতে দেখা যাবে তাঁকে। এমনটাই জানানো হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির তরফে। শুক্রবার বিজয় হাজারে ট্রফির ম্যাচে বিহারের মুখোমুখি হবে বাংলা। এক সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার রাতে হায়দরাবাদে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা শামির। বাংলার টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে বলা হয়েছে, ‘শামির খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। ম্যানেজমেন্টের কাছে এরকমই খবর এসেছে।’
উল্লেখ্য, বিজয় হাজারে ট্রফিতে দুরন্ত ছন্দে রয়েছে বাংলা। এখনও পর্যন্ত ৪ ম্যাচের মধ্যে ৩টিতে জিতেছে তারা। বিহারকে যদি হারাতে পারে সেক্ষেত্রে নকআউটে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে শুধু বিহার নয়, শেষ ম্যাচে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধেও জয় চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট। কারণ, গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল আর খেলতে হবে না বাংলাকে। সরাসরি পৌঁছে যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। আর এই লড়াইয়ে শামিকে পাওয়া যে নিঃসন্দেহে বাংলার জন্য ভালো খবর তা বলার অপেক্ষা রাখে। এই অভিজ্ঞ পেসারকে পাওয়ার অর্থ, দলের বোলিং শক্তি বৃদ্ধি হওয়া। ইতিমধ্যেই বাংলার দলে রয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুকেশ কুমার। ভালো ফর্মে রয়েছেন সায়ন ঘোষ।